পাওনা, দেওন্ হইতে দেনা, ফেলন্ হইতে ফেল্না, মাগ্ন্ হইতে মাগ্না, শুকন্ হইতে শুক্না।
পদার্থবাচক বিশেষ্যেরও দৃষ্টান্ত আছে। যেমন, বাট্না কুট্না ওড়্না ঝর্না খেলনা বিছানা বাজ্না ঢাক্না।
ই প্রত্যয়
ধর্ম ও ব্যবসায় অর্থে: গােলাপি বেগুনি চালাকি চাকরি চুরি ডাক্তারি মােক্তারি ব্যারিস্টারি মাস্টারি; খাড়াই (খাড়া পদার্থের ধর্ম) লম্বাই চৌড়াই ঠাণ্ডাই আড়ি (আড় অর্থাৎ বক্র হইবার ভাব)।
অনুকরণ অর্থে: সাহেবি নবাবি।
দক্ষ অর্থে: হিসাবদ হিসাবি, আলাপক্ষ আলাপি, ধ্রুপদ ধ্রুপদি।
বিশিষ্ট অর্থে: দামবিশিষ্ট দামি, দাগবিশিষ্ট দাগি, রাগবিশিষ্ট রাগি, ভারবিশিষ্ট ভারি।
সূত্র অর্থে: হাঁড়ি পুটুলি কাঠি (ইহাদের বৃহৎ—হাঁঁড়া পোঁটলা কাঠ)।
দেশীয় অর্থে: মারাঠি গুজরাটি আসামি পাটনাই বস্রাই।
স্বার্থে: হাস হাসি, ফাঁঁস ফঁসি, লাথ লাথি, পাড় (পুকুরের) পাড়ি, কড়া কড়াই (কটাহ)।
দিননির্দেশ অর্থে: পাঁঁচই ছউই সাতই আটই নওই দশই, এইরূপে আঠারই পর্যন্ত।
আ+ই প্রত্যয়
ক্রিয়াবাচক: বাছাই যাচাই দলাই-মলাই (ঘােড়াকে) খােদাই ঢালাই ধােলাই ঢােলাই বাঁধাই পালটাই।
পদার্থবাচক: মরাই (ধানের) বালাই (বালকের অকল্যাণ) মিঠাই।
মনুষ্যের নাম: বলাই কানাই নিতাই জগাই মাধাই।
ধর্ম: বড়াই (বড়ত্ব) বামনাই পােষ্টাই(পুষ্টের ধর্ম)।
ই+আ প্রত্যয়
জাল শব্দ ই প্রত্যয়যােগে জালি, স্বার্থে আ— জালিয়া (জেলে)। এইরূপ, কোঁঁদলিয়া (কুঁদুলে) জঙ্গলিয়া (জঙ্গুলে) গােবরিয়া (গুবরে), স্যাঁঁৎস্যাঁঁতিয়া (স্যাঁঁৎসেঁঁতে) ইত্যাদি।