পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

·ᎦᏔy o · বাংলা শব্দতত্ত্ব র্তাহার দৃষ্টান্ত এই, ঠেলা দিলে টেবিল উন্টে পড়ে", আমরা টেবিলে বলি না । এখানে 'ঠেলা দিলে’ বলাতে টেবিলের সামান্ত বা স্বাভাবিক ধৰ্ম্ম পতন সিদ্ধ হইল না। "ইংরেজ সৈন্যদল ভারতবর্ষে আছে’— এখানে সৈন্তদলে হইতে পারে না। কারণ থাকা না থাক। কেবল সৈন্যদলের সামান্য ধৰ্ম্ম নহে। গাছে ফুল ধরে এখানে ধর ধাতুর কৰ্ম্ম ফুল বলিতে হইবে। ধর ধাতু অকৰ্ম্মকও হয়। যেমন, জল ধরিয়াছে, মেঘ ধরিয়াছে, এসব স্থলে ধর ধাতুর অর্থ বিরাম। আমার বোধ হয়, সামান্ত ধৰ্ম্ম প্রকাশ ব্যতীত কৰ্ত্তার কর্তৃত্ব প্রকাশ উদ্বেগু হইলেও বহুবচনে এ লাগে । যেমন টাকায় টাকা করে, নদীতে নামিও না কুমীরে কামড়াবে। কৰ্ত্ত কারক ভিন্ন অন্য কায়কেও সে কারক স্পষ্ট নির্দেশ করিতে হইলে বিভক্তি দিতে হয় ।” ১৩১৮ কাতিক সংখ্যা প্রবাসীতে ( পৃ. ৯৫-৯৬ ) বসন্তকুমার চট্টোপাধ্যায় * *বাংলা নির্দেশক” সম্বন্ধে কয়েকটি কথা’ নামে আলোচনা করেন । বর্তমান গ্রন্থের ‘আলোচনা’ পর্যায়ে ‘নিছনি’ শব্দের আলোচনা প্রসঙ্গে পাদটীকায় রবীন্দ্রসংগীতে নিছনি’ শব্দ ব্যবহারের যে দৃষ্টান্ত দেওয়া হইয়াছে সেই গানটির পাণ্ডুলিপি শাস্তিনিকেতন রবীন্দ্রসদনে সংরক্ষিত (মজুমদার পাণ্ডুলিপি : পৃ. ২৪ ) । ইহা ১২৯৯ বঙ্গাব্দের পূর্বে রচিত। কালচার ও সংস্কৃতি "ইংরেজি culture শব্দের বাংলা লইয়া’ রবীন্দ্রনাথের ভাবনার পরিচয় প্রথম পাওয়া যায় শাস্তিনিকেতন পত্র ১৩২৬ আশ্বিন-কাতিক সংখ্যায় প্রকাশিত ‘প্রতিশব্দ’ প্রবন্ধে ( বর্তমান গ্রন্থে প্রতিশব্দ ৪ : পৃ ১৯০-৯১ ) । স্বধীরকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়কে লিখিত পত্রে ( ৪ আষাঢ় ১৩৩৯ ) প্রশ্নটি আবার ওঠে ‘প্রথমত culture শব্দের বাংলা একটি করতে হবে•••’ ( বর্তমান গ্রন্থে প্রতিশব্দ ১৪ : পৃ ১৯৮-৯৯ দ্রষ্টব্য )। কিন্তু ইতিমধ্যে স্থনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ‘সংস্কৃতি’ শব্দটির প্রতি রবীন্দ্রনাথের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এই প্রসঙ্গে স্থনীতিকুমার পরবর্তী কালে লেখেন—

      • কালচার শব্দের মূলে আছে লাতীনের cultura ‘কুলতুরা' শব্দ ; এই