পাতা:বাঙ্গলা ব্যাকরণ - লোহারাম শিরোরত্ন.pdf/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮৮
বাঙ্গলা ব্যাকরণ।

ছিলাম, অমনি ক্রোধ জন্মিল” ইত্যাদি বাক্যান্তর না বলিলে বক্তার মনোগত ভাবের শেষ হয় না এবং শ্রোতারও সম্পূর্ণ অর্থগ্রহ হয় না। সুতরাং উহাদিগের এক একটিকে অসম্পূর্ণ বাক্য বলে।

 যে বাক্য অসমাপিকা ক্রিয়ার অন্তর্গত, তাহাকে অসমাপিত বাক্য বলে। যথা; তিনি যাইয়া, মাধব ভোজন করিলে, ইত্যাদি।

 অসম্পূর্ণ ও অসমাপিত বাক্যকে বাক্যাংশও বলে। আর যখন তাহারা বাকান্তরের সহিত মিলিয় সমগ্র তাৎপর্য প্রকাশ করে, তখন তাহাদিগকে সংযুক্ত বাক্য বলে। বাক্যাংশ, যথা; যদি তিনি যান। সংযুক্ত বাক্য, যথা; যে দিন আমি কলিকাতায় ছিলাম, সে দিন বড় বৃষ্টি হইয়াছিল।

 উক্ত সমুদায় বাক্যকে ক্ষুদ্র বাক্য বলে। উক্তরূপ কতকগুলি ক্ষুদ্রবাক্য যদি এক ক্রিয়ার অন্তর্গত হয়, তবে তাহাকে মহাবাক্য বলে। মহাবাক্য, যথা; “দেখিলেন, ঐ সরসীর তীরে হংস, বক, চক্রবাক প্রভৃতি নানাবিধ জলচর পক্ষিগণ কলরব করিতেছে; মধুকরেরা মধু-