পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) প্রথম খন্ড.djvu/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.3 sé t বাঙ্গালার ইতিহাস প্রণেতা কালনের উক্তি বিশ্বাস করিতে প্রস্তুত নহেন । কেবল শ্রীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ বস্থ ও ব্যোমকেশ মুস্তকী জয়াপীড় ও জয়স্তের কাহিনী ঐতিহাসিক ঘটনারূপে গ্রহণ করিতে প্রস্তুত। ১৩০৬ বঙ্গাব্দে vব্যোমকেশ মুস্তকী মহাশয় বজীয় সাহিত্য পরিষদে “আদিশূর ও জয়ন্ত” নামক একটি প্রবন্ধ পাঠ করিয়াছিলেন “ । ইহাতে তিনি গোঁড়াধিপ আদিশূর ও গৌড়রাজ জয়ন্তের একত্ব প্রমাণ করিতে চেষ্টা করিয়াছিলেন। এই প্রবন্ধটি কোন পত্রিকায় অথবা গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় নাই। মুস্তক্ষী মহাশয় জানাইয়াছিলেন যে, ইহা “বিশ্বকোষের” জন্য লিখিত হইয়াছিল। ১৩•৫ বজাৰে শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ বস্থ বলিয়াছিলেন —“কুলাচাৰ্য্য গ্রন্থে জাদিশুর পঞ্চগৌড়ধিপ'এই মহোচ্চ উপাধিতে বিস্কৃষিত হইয়াছেন । ধৰ্ম্মাপালের পরে এখানে জয়ন্ত ব্যতীত আর কোন হিন্দু রাজাকে ঐরুপ উচ্চ সম্মানে অলঙ্কত দেখি না। ইত্যাদি কারণে সহজেই বোধ হইতেছে, গোঁড়াধিপ জয়ন্ত জামাতা কর্তৃক পঞ্চগৌড়ের অধীশ্বর হইলে হইলে ‘আশুির, উপাধি গ্রহণ করেন । মহারাজ আদিশূর বঙ্গদেশে কান্যকুব্জ হইতে পঞ্চজন সাগ্নিক ব্রাহ্মণ অনিয়ন করিয়াছিলেন এবং এই পঞ্চ ব্রাহ্মণ ৬৫৪ শকাব্দে বঙ্গদেশে আগমন করিয়াছিলেন , কুলশাস্ত্রে এই প্রমাণের বলে মহারাজ আদিশূরকে ধৰ্ম্মপালের পূৰ্ব্ববর্তী লোক মনে করিয়া বস্থজ মহাশয় পূৰ্ব্বোক্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছিলেন। বঙ্গের জাতীয় ইতিহাসের অন্ত এক স্থানে বহুজ মহাশয় আদিশূর ও জয়স্তের একত্ব সম্বন্ধে কুলশাস্ত্রোদ্ধ,ত একটি প্রমাণের উল্লেখ করিয়াছেন। ব্রাহ্মণডাঙ্গ নিবাসী vবংশী বিদ্যারত্ব ঘটকের সংগৃহীত কুলপঞ্জিকায় তিনি নিম্নলিখিত শ্লোকটি আবিষ্কার করিয়াছিলেন :- * * ভূপূরেণ চ রাজ্ঞাপি শ্ৰীজয়ন্তস্থতেন চ। নায়াপি দেশভেদৈস্ত রাঢ়ী-বারেন্দ্র-সাতশতী । (১৪) “যত দিন না সমসাময়িক লিপিতে বা সাহিত্যে জয়ন্ধের নামোল্লেখ - मृडे एछ उठकिन अब्रख यकृङ चैख्शिनिक दाखि, किश अङ्गांनौष्क्लद्र অজ্ঞাতবাস উপন্যাসের উপনায়ক মাত্র, তাহ বলা কঠিন” – গৌড়রাজমালা, পৃঃ ১৮ । .. - (১৪) বন্ধীয় সাহিত্য পরিষদ পত্রিক, যষ্ঠভাগ, কাৰ্য্যবিবরণ পূ: , (১৪) বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস, ১ম ভাগ, ১ম অংশ, পৃঃ ১•১ । -