बर्छ श्रृष्ट्रिटकूल ఫిఫి. জিৰ সৰ্ব্বমহীপতিং ভূজবলৈ পঞ্চাশুতুলো বলী। শ্ৰীমক্রিমপুরনাহনগরে রাজাভবন্নিশ্চিতং। —ভারতবর্ষ, ১ম বর্ষ, পৃঃ ৩১ । তুলনা করিলে দেখিতে পাওয়া যায় যে, ঈশ্বর বৈদিকের কুলপঞ্জিকার দ্বিতীয় পুথিতে “কাশীপুর” স্থানে “দেশে কাশী” “স্বর্ণরেখা নদী” স্থানে “স্বর্ণরেখা পুী,” “বিজয়সেনকং” স্থানে “কর্ণসেনকং,” “পত্নী তস্য বিলোল” স্থানে “কল্প তস্য বিলোলা”, “স্ক্রিয়াং’ স্থানে “প্রিয়াং’ পরিবর্তিত হইয়াছে। এই সকল পরিবর্তন সমেত দ্বিতীয় পুথিখানি বেলাবো তাম্রশাসন আবিষ্কারের অল্পদিন পরেই বস্থজ মহাশয়ের হস্তগত হইয়াছিল। বেলাবো তাম্রশাসনে শু্যামলবৰ্ম্মার মাতামহ চেদিরাজ কর্ণদেবের নাম আছে, সুতরাং উক্ত তাম্রশাসন আবিষ্কারের পরে ঈশ্বর বৈদিককৃত দ্বিতীয় পুথি আবিষ্কার হওয়ায় সন্দেহ হইতেছে যে, কোন দুষ্ট ব্যক্তি ইচ্ছাপূর্বক কতকগুলি কুলশাস্ত্র রচনা করিয়া বারংবার বস্থজ মহাশয়কে প্রতারিত করিয়াছে। অল্পদিন পূৰ্ব্বে মহামহোপাধ্যায় শ্রীযুক্ত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় বলিয়াছেন যে,সন্ধ্যাকরনন্দী রচিত “রামরচিত” প্রকাশিত হইবার পরেই তাহার পূৰ্ব্বপুরুষগণের নামাবলী আবিষ্কৃত হইল, কিন্তু তাহার পূৰ্ব্বে কেহ সন্ধ্যাকরনদীর বংশ-পরিচয় দিতে পারিলেন না, ইহা অত্যন্ত আশ্চর্য্যের বিষয় । (৩) বিজয়সেনের তাম্রশাসন : - কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে জনৈক ভদ্রলোক আমার নিকটে বিজয়সেনের একখানি নূতন তাম্রশাসন আনিয়াছিলেন, ইহা বল্লালসেনের পিতা বিজয়সেনের ৩১ বা ৩৬ রাজ্যাঙ্কে প্রদত্ত হইয়াছিল। এই তাম্রশাসন হইতে অবগত হওয়া যায় যে, বল্লালসেনের মাতা বিলাসদেবী পূরবংশের কন্যা এবং বল্লালসেন স্বয়ং শুরুবংশের দৌহিত্র। আদিশূর সম্বন্ধে কুলগ্রন্থের যে সমস্ত বচন অদ্যাবধি আবিষ্কৃত হইয়াছে, তাহা পৰ্য্যালোচনা করিলে দেখিতে পাওয়া যায়, সেনরাজগণ আদিশূরের দৌহিত্র বংশজাত (ক) জাতে বল্লালসেনো গুণিগণগণিতস্তস্য দৌহিত্রবংশে (খ) আদিশূরাং কুলে জাত পুরুষাং সপ্তমাং পরম্। কন্তকা স্কুন্দরী সাধী নামা শ্ৰীঃঐরিব শুভা৷ (গ) আসীৎ গৌড়ে মহারাজ জাপূিরঃ প্রতাপবান। তদাত্মজী-কুলে জাতে বল্লালাংখ্যা মহীপতিঃ ॥
