পাতা:বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

v98 বারীদ্রের আত্মকাহিনী পুণায় বক্তৃতাকালে অরবিন্দ লেলের উপদেশে আগে কৰ্ত্তব্য বিষয় ভাবিয়া চিন্তিয়া বক্তৃতা দেওয়া ছাড়িয়া দিলেন। শান্ত হইয়া শূন্য মন নিয়া বক্তৃতা মঞ্চে দাড়াইবামাত্র, আপনি অনর্গল কথার পর কথা কে যেন অন্তরে বসিয়া যোগাইয়া দিত । তাহার পর তঁাহার কলিকাতা যাত্র ; যাইবার পূর্বে তিনি লেলেকে জিজ্ঞাসা করেন, “এখন তো আমি আপনাকে সঙ্গে পাব না, কিরূপ কি প্ৰণালীতে সাধনায় চলতে হবে "আমায় বলে দিন।” লেলে প্ৰথমে সাধনার নানা উপদেশ দিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন, কিন্তু হঠাৎ খামিয়া বলিলেন, “তোমার কাছে যে বাণী এসেছে, তাতে অকপট বিশ্বাস স্থাপন করে চলতে পারবে ?” অর। হ্যা, তা সহজেই পারবো । লে। তবে তাই করে তা’ হ’লে আর কোন উপদেশই দরকার হ’বে না। ঐ বাণীই তোমায় সব বুঝাবে ও করাবে। তাহার পর আমার কলিকাতা প্ৰত্যাবৰ্ত্তন ও অরবিন্দের পুণার দিকে যাত্ৰা । তার পথ মুক্ত, সহজ। রাজনীতি ; আমার পথ গুপ্ত, কুটিল বিদ্রোহ, কাজেই কত দিন আর এক সঙ্গে চলে ? অত বড় স্বদেশী বয়কটী যুগ গিয়াছে, তাহাতে র্তার সঙ্গে যে আমার ቌis ক’দিন দেখা হইয়াছে ভাবিতে গেলে আশ্চৰ্য্য হইতে হয় । অথচ জ্ঞানতঃই হউক বা অজ্ঞানতঃই হউক, আমার কৈশোর, যৌবন ও প্ৰৌঢ়কালের তিনিই নেতা বল, আদর্শ বল, গুরু বল-সবই। যদি আমার আয়ুতে ও শক্তিতে কুলায়, আর যদি ভগবানের ইচ্ছা তাহাই হয়, তাহা হইলে সাধ রহিল, অরবিন্দের জীবনী লিখিতে গিয়া তঁহার সহিত আমার সম্বন্ধের সকল কথাই মনের মত গুছাইয়া আর একবার বলিব । ফিরিয়া আসিলাম মুরারীপুকুর বাগানে—আমাদের বিপ্লবের আডিডায় । আমাদের মধ্যে সবাই শুনিল, এবার আর মহারাষ্ট্র পিছনে নাই, সমস্ত দেশ জাগাইবার জন্য বাঙলাকে-বাঙলার মুষ্টিমেয়