অপরাধ স্বীকার কেন করিলাম ? 8) ফঁাসী কাঠে দিয়াই বোধ হয় তাহা করিতে হইবে । আমাদিগকে প্ৰকাশ্য রাজদ্বারে ঘাতক হস্তে স্বেচ্ছায় যাচিয়া জীবন দিতে না দেখিলে, বুঝি। এ মরণ-ভীরু জাতি মরিতে শিখিবে না। আমার সংকল্প আরও অটল হইল, আমি এতটা পথ চলিয়াও তাই সে বালকের কাছ হইতে পলাইলাম না । সে তো আর তাহ জানিত না, তাই যাইতে যাইতে তাহার চক্ষু ঘুরিয়া ফিরিয়া আমার গতিবিধিই দেখিতেছিল, হাতটা তার পকেটেই পিস্তল আঁকড়াইয়া পড়িয়াছিল । ডিটেকটিভ অফিসে গিয়া বারান্দায় আমায় দাড় করাইয়া বাচ্চ সার্জেণ্ট ভিতরে রিপোর্ট দিল এবং পরে আসিয়া আমাকে দাড়াইয়া” থাকিতে ইঙ্গিত করিয়া সরিয়া পড়িল । তাহার পর সেই অবস্থায় সেইখানে প্ৰায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করিবার পর, ভিতর হইতে হঠাৎ ব্যস্তসমস্তভাবে রামসদায়বাবু বাহির হইলেন ; যেন আমার এরূপ অপেক্ষা করার ব্যাপার কিছুই জানেন না, এমন ভাব দেখাইয়া বলিলেন, “এই যে । তাইতো, তোমায় এখানে দাড় করিয়ে রেখেছে। এসে বাবা, এসে । তোমরা দেশের রত্ন, কি কাজটাই করেছ। এরও পর শালারা আর আমাদের কাপুরুষ ভাববে, অপমান করবে। এসো বাবা, এসে বসে ।” তাহার পর চেয়ার, পান, সুপারী, চা, জলখাবার, কোন নৈবেদ্যেরই ক্ৰটি রহিল না । শেষে কাছে ঘেঁসিয়া বসিয়া এ প্রশ্ন, সে প্রশ্ন, কত গালগল্প ; যে আসে তাহাকেই ডাকিয়া gT, “Riktas, GWIR Tfe ! I say Jones, here is Barindra” কত পুলিশ ইন্সপেকটর, সাহেব সুবা কেহ প্ৰকাশ্যে ঘরে ঢুকিয় কেহ উকি মারিয়া কেহ ট্যাড়া গর্বিবত নজরে, কেহ সহাস্য-আন্দর আপ্যায়নে ? আমাকে দেখিয়া গেল। আর প্রায় রাত ১টা অবধি “দিদিশাশুড়ী” রামসদায়ের জেরা ও আদর সমান বেগে চলিতে লাগিল। গলদঘৰ্ম্ম হইয়া বেচারী যায়। আর কি ? আমায় সব কথা স্বীকার না করাইলে এতবড় মোকদ্দমার কুল-কিনারা হয় না। তাহার পর এখনও গলি