পাতা:বাহ্যবস্তুর সহিত মানব প্রকৃতির সম্বন্ধ বিচার (প্রথম খণ্ড).pdf/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯২’ শারীরিক নিয়ম লঙনের ফল । । করিয়া, এক্ষণে অায় এক ভয়ানক ব্যাপারের বিবেচনায় প্রবৃত্ত হওয়া যাইতেছে। ইহার নাম এ বণ মাত্ৰেই কলেবর কল্পমান হয়,--ইন্দ্রির সকল অবশ হয়, লোরে আশা রস উদ্দিয় হইয়া যায়। ইহার নাম মৃত্যু এই গ্রন্থের উপক্রমণিকায় প্রতিপন্ন করা গিয়াছে, যে ভূমণ্ডল মনুষ্যের নিবাস-ভূমি হইবার পূর্বেও মৃত্যুর অধিকার-ভূমি ছিল, এবং তখনও যাবতীয় প্রাণী ও উদ্ভিজজ এক্ষণকার ন্যায় যথাক্রমে বর্ধিত ও বিনষ্ট হইত। জগদীশ্বর সৃষ্টি-প্রক্রিয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সংহারের নিয়ম সংস্থাপন করিয়াছেন । কি কারণে এপ্রকার ব্যবস্থা করিলেন, তাহ সম্যক অনুধাবন করা আমা দের সাধ্য নহে । সৃদ্মঘটনা সমন্ত শারীরিক বস্তুর প্রকৃতিসিদ্ধ। ইয়ুরোপস্থ প্রধান প্রধান চিকিৎসকেরা একবাক্য হইয়া স্বীকার করেন, যে মৃত্যুর বীজ শরীর-মাত্রেই অস্তভূ ত হইয়াছে। শরীরের জীবনী শক্তি সমুদায়। পরমেশ্বর-প্রতিষ্ঠিত নির্দিষ্ট নিয়মানুসারে কিছু কাল সম্পূর্ণ থাকিয়া পরে বয়োবৃদ্ধি সহকারে ক্রমে ক্রমে হ্রাস পাইতে থাকে, এবং পরিণামে নিঃশেষিত হইয়া দেহ-ভঙ্গ সমাধান করে । ফলতঃ, যখন শারীরিক বস্তুর অবস্থানার্থে স্থানের আবশ্যকতা আছে, তখন জন্ম ও বৃদ্ধির বিধান থাকিলে মৃত্যুর নিয়ম ন ধাকা কোন ক্রমেই যুক্তি-সিদ্ধ বোধ হয় না সৃষ্টি-কালা বধি যত প্রাণী ও বড উদ্ভিদ উৎপন্ন হইয়াছে, সমুদায়ই