১৬৬। শারীরিক নিয়ম লঙ্গনের ফল। একটি মেষ ও এক মাত্র ব্যান্ড একত্র স্থাপিত হুইত, তবে ব্যাক্ষ্ম অবিলম্বেই সেই মেষাটিকে আহার করিয়া ফেলিত, পরে অন্নাভাবে তাহার অপনারও প্রাণ বিয়োগ হইত । অতএব, মৃত্যু-বিধান ভূমণ্ডলের মূলী ভূত নিয়ম, এবং পৃথিবীন্থ অন্যান্য সমস্ত বিষয়ের যাদৃশ ব্যবস্থা আছে, তাহাতে মরণঘৰ্ম্মকে এক প্রকার আবশ্যকই বোধ হয়। এই নিমিত্ত পরমেশ্বর তাহার সস্থিত সকল বস্তুকে পরস্পর সমঞ্জ নীভূত করিয়া সৃষ্টি করিয়াছেন। মৃত্যুকালে ক্লেশ হয় বটে, কিন্তু তাহাও শারীরিক নিয়ম লঙনের ফল। নির্জীব জড় পদাৰ্থ আহত বা ভগ্ন হুইলে, তাহার আর স্বতঃ প্রতীকারের উপায় থাকে না। যদি শরাব ব; দর্পণ হস্ত হইতে পতিত হইয়। ভগ্ন হয়, তবে তাছা চিরকালই ভগ্নাবস্থায় থাকে, তাহার আর আপন হইতে কখন প্রতিকার । হইতে পারে না । কিন্তু প্রাণী ও উদ্ভিজ্জের স্বভাব সেরূপ নহে, তাহাদের ভগ্নপ্রতীকার ও ক্ষতিপূরণের মুন্দর উপার আছে। কোন সতেজ বৃক্ষ প্রবল বামু বেগে পতিত হইলে তাহার ভূমিস্থ সমুদায় মূল তাহার জীবন-রক্ষার্থে পূর্বাপেক্ষা অধিক তেজ ধারণ করে। কোন শাখাচ্ছেদ করিলে, তৎস্থানে নব পল্লব সকল উৎপন্ন হয়। কোন জন্তুর জ জন্য ভঙ্গ হইলে, সে স্থানের অস্থি ক্রমে ক্রমে ‘যুক্ত হইয়া যার । কোন রক্তবস্থা নাড়ী নষ্ট হইলে, তাহার সমীপবধিনী অন্ত নাড়ী পূর্বাপেক্ষার ফুলউর হইয়া পূর্মোক্ত নাড়ীর
