পাতা:বাহ্যবস্তুর সহিত মানব প্রকৃতির সম্বন্ধ বিচার (প্রথম খণ্ড).pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপক্রমণিকা । ১১ প্রদ শক্তি দেখিয়া ভীত হন, এবং সে শক্তি অতিক্রম করা নিতান্ত সাধ্যাতীত বোধ করেন। । যদিও বিশ্ব- কার্ষের কোন কোন অংশের সৌষ্ঠব ও সুশৃংল। কদাচিৎ মনোগত হইয়। মুখের আশা সঞ্চারিত হয়, কিন্তু তৎপরক্ষণেই সে সমুদায় ঘনতিমিরাক্কতবৎ অস্পষ্ট ও অলক্ষিত হইয়া যায়, ও সেই সঙ্গেই তাহার সকল আশা ভগ্ন হয়। জগদীশ্বর’ যে এই জগতের বস্তু সমুদায় মনুষ্যের সুধোপযোগী করিয়া সৃষ্টি ফরি য়াছেন ইহা প্লাহার প্রতীত । হয় ন' , ও সুতরাং প্তাহার নিয়মানুযায়ী কাৰ্য্য করিয়া সুখলাভ করিতেও সামর্থ্য জন্মে না। কিন্তু মনুষ্য সভ্য ও জ্ঞানবান হইলে নিশ্চয় জানিতে পারেন, প্লাহার চতুঃপাশ্ববৰ্তী সমস্ত বস্তু ও সমস্ত ঘটনা পরস্পর সম্বদ্ধ হইয়া এক মুশধ্বলাযুক্ত পরম শুভদায়ক যন্ত্র স্বরূপ হইয়াছে, এবং তাহা ওঁাহার সমুদায় মনোৱত্তির চরিতার্থতা সাধনাৰ্থেই সঙ্কল্পিত হইয়াছে। তিনি আপনাকে বিশ্বাধিপের প্রজা জ্ঞান করিয়া আনন্দিত মনে ঊাহার বিশ্ব-কাৰ্য্য পর্যালোচ নায় অনুরাগী হন, এবং তদ্বার প্লাহার প্রতিষ্ঠিত নিয়ম সমুদায় নিরূপণ করিয়া তদনুবর্তী হইয়া কর্ম করেন । তিনি ঈশ্বরানু মত ইন্দ্ৰিয়মুখ এককালে পত্রি তাগ না করিয়া জ্ঞান-ধর্ম-জনিত বিশুদ্ধ সুধান্য দনেও তৎপর থাকেন, এবং যথা-নিয়মে চালনা দ্বারাই মনুষ্যদিগের সমুদায় শক্তির সৃষ্টি ও তত্তং বিষয়ের সুধোৎপত্তি হয় জানিয়া তাহাতে যত্ন করা