পাতা:বাহ্যবস্তুর সহিত মানব প্রকৃতির সম্বন্ধ বিচার (প্রথম খণ্ড).pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপক্রমণিকা । ১৫ প্রত্নত ন হইয়া জুর্দান্ত প্রবৃত্তি বিশেষের বশীভূত হইয়া চলিতেছেন, তখন একথা। সাহস করিয়া বলা যাইতে পারে, যে এক নময়ে মনুষ্য আপনার প্রকৃতি ও অপরাপর বস্তুর সহিত তাহার সম্বন্ধ যথার্থরপে অবগত হইয়। তদনুযায়ী ব্যবহার করিতে সমর্থ হুই বেন, এবং তখন পৃথিবীতে প্লাগার মুখোমতি বিষয়ে যুগান্তর উপস্থিত হইবে, তখন ডিনি কাৰ্য্যকারণের বখাৰ্থ স্বরূপ অবগত হইয়া বিবেচনাপূর্বক নিরপিড নিয়মানুসারে সুখ প্রাপ্তির চেষ্টা করিতে পারিবেন। পূর্ষে আমাদিগের দেশে যত দর্শন-শাস্ত্র প্রকাশিত হইয়া ছিল, এ বিষয়ের অনুসন্ধান করা তাহার তাৎ পর্য ছিল না। আপনাদিগের শারীরিক ও মানসিক স্বভাব ও বাহ্য বস্তুর সহিত তাহার সম্বন্ধ বিবেচনা করিবার প্রয়োজন, তৎকালের লোকের সম্যক বোধ গম্য হয় নাই। বরঞ্চ, অপরাপর অনেক দেশের ন্যায় আমাদের দেশেও এই প্রসিদ্ধ মত প্রচলিত আছে, যে আদৌ ভূলোক নিৰ্মল জ্ঞান ও পরম মুখের আম্পদ ছিল, ক্রমে ক্রমে তাহার হ্রাস হইয়া অজ্ঞান ও দুঃখের বৃদ্ধি হইতেছে, ও পরে ক্রমশই তাহার আধিক্য হইতে খাকিৰে। কিন্তু ইউরোপীয় লোকের পূর্বাপর বৃত্তান্ত আলোচনা করিয়া দেখিলে, তাহার সহিত এ মতে সঙ্গতি হয় না ; কারণ র্তাহাদিগের অবস্থা উত্তরোত্তর উতই হইয়া আসিতেছে। যদি এই অভিপ্রায় বধার্থ হইত ডাহা হইলে বিজ্ঞান শাখের বহু উন্নতি হউক, ও তার জগতের নিয়ম ষত্ব