পাতা:বাহ্যবস্তুর সহিত মানব প্রকৃতির সম্বন্ধ বিচার (প্রথম খণ্ড).pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপক্রমণিকা অালোচিত হয় নাই। ইহ লোকে কিরূপ নিয়মে সংসারের কার্য্য নিৰ্বাহ হইতেছে, ভোগাভোগের বিধান হইতেছে, সুখ ছুঃখের । পরিবর্তন হইতেছে, তাহ তৎকালের লোকের স্পষ্ট প্রতীত হয় নাই, সুতরাং পরমেশ্বর যেরূপ নিয়মে বিশ্ব-রাজ্য পালন করিতেছেন, শাস্ত্রকারের তাহার সহিত স্বপ্রকাশিত শাস্ত্রের ঐক্য রাখিতে সমর্থ হন নাই। অনে কানেক প্রাচীন পণ্ডিত সংসারের সুখ-দুঃখবিন্যরক সুনিয়ম । নিরূপণে অপারগ হইয়া তাহা মানব-বুদ্ধির সম্পূর্ণ অগম্য বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন। কেহ বা এককালে। এমত মীমাংসা করিয়া গিয়াছেন, যে এ সংসারের কোন মুশখলাই নাই, যদিও কোন কোন ধর্মব্যৰ সারী পণ্ডিত জগতের নিয়ম-শৃশ্বলা স্বীকার করিয়া । থাকেনকিন্তু ঢাহারা তাহা উপদেশ দেওয়া নিতান্ত অ্যাবশ্যক জ্ঞান করেন না, সুতরাং তদ্বিষয়ে আদরও করেন না । । ঊাহারা সমস্ত বিজ্ঞান শাস্ত্র ও লৌকিক জান কেবল । কৌতুইলজনক ও ধনাগমের উপায় বলিয়া ।

  • থাকেন। কিন্তু লোকে সাংসারিক ব্যবস্থার কালে

আপন স্বভাব ও প্রাকৃতিক নিয়ম যৎকিঞ্চিৎ যাহা অব গত অাছে, তদনুযায়ী কাৰ্য্য করিতে সচেষ্ট হয়, আপন পুণ্যবল ও অদৃষ্টের উপর নিতান্ত নির্ভর করিয়া। নিশ্চিন্ত থাকে না। বৃষ্টি না হইলে কৃষিকার্য্যের নিয় মানুসারে শ যাক্ষেত্রে জল সেচন করে, অন্নসংস্থান না ধাকিলে, সাংসারিক নিয়মানুসারে কায়িক পরিশ্রম করিয়া উপার্জনের চেকা করে, এবং রোগ হইসে