পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

MINA SV áĝe>>> চিহ্ন নেই, ভিক্ষুক এ পৰ্য্যন্ত চোখে পড়ল না। এখানকার গ্রামগুলি দেখে মনে হোলো এই তো যথার্থ শ্ৰীনিকেতন। গ্রামের সমগ্ৰ প্ৰাণটি সকল দিকে পরিপূর্ণ। এদেশে উৎসবের প্রধান অঙ্গ নাচ । এখানকার নারকেল-বন যেমন সমুদ্র-হাওয়ায় দুলচে তেমনি সমস্ত দেশের মেয়ে পুরুষ নাচের। হাওয়ায় আন্দোলিত। এক একটি জাতির আত্মপ্ৰকাশের এক একটি বিশেষ পথ থাকে। বাঙলা দেশের হৃদয় যেদিন আন্দোলিত হয়েছিল সেদিন সহজেই কীৰ্ত্তনগানে সে আপনি আবেগ সঞ্চারের পথ পেয়েছে, এখনো সেটা সম্পূর্ণ লুপ্ত হয়নি। এখানে এদের প্ৰাণ যখন কথা কইতে চায়। তখন সে নাচিয়ে তোলে। মেয়ে নাচে, পুরুষ নাচে। এখানকার যাত্ৰা অভিনয় দেখোঁচি, তার প্রথম থেকে শেষ পৰ্য্যন্ত চলায় ফেরায়, যুদ্ধে বিগ্ৰহে, ভালোবাসার প্রকাশে, এমন কি ভাড়ামিতে সমস্তটাই নাচ । সেই নাচের ভাষা যারা ঠিকমতো জানে তারা বোধ হয় গল্পের ধারাটা ঠিকমতো অনুসরণ করতে পারে। সেদিন এখানকার এক রাজবাড়িতে আমরা নাচ দেখছিলুম। খানিক বাদে শোনা গেল। এই নাচ-অভিনয়ের বিষয়টা হচে শান্ধি-সত্যবতীর আখ্যান । এর থেকে বোঝা যায়, কেবল ভাবের আবেগ নয়, ঘটনা বর্ণনাকেও এরা নাচের আকারে গ’ড়ে তোলে। মানুষের সকল ঘটনারই বাহরূপ চলা ফেরায়। কোনো একটা অসামান্য ঘটনাকে পরিদৃশ্যমান করতে চাইলে তার চলাফেরাকে ছন্দের সুষমা যোগে রূপের সম্পূর্ণতা দেওয়া সঙ্গত। বাণীর দিকটাকে বাদ দিয়ে কিম্বা খাটো ক’রে কেবলমাত্র গতিরূপটিকে ছন্দের উৎকর্ষ দেওয়া এখানকার নাচ । পৌরাণিক যে-আখ্যায়িক কাব্যে কেবলমাত্র কানে শোনার বিষয় এরা সেইটোকেই কেবলমাত্র চোখে BBBB DDD DBuSt DDLL S DBBDB DBDD DDBDSBBB বাক্যের ছন্দ অংশ সঙ্গীতের বিশ্বজনীন নিয়মে চালিত, কিন্তু তার অর্থ অংশ কৃত্রিম, সেটা সমাজে পরস্পরের আপোষে তৈরি-করা সঙ্কেতমাত্র। এই দুইয়ের যোগে কাব্য। গাছ শব্দটা শুনলে গাছ তারাই দেখে যাদের মধ্যে এ সম্বন্ধে একটা আপোষে বোঝাপড়া আছে। তেমনি এদের নাচের মধ্যে শুধু ছন্দ থাকলে তাতে আখ্যান বর্ণনা চলে না, [ পৌষ সঙ্কেতও আছে, এই দুইয়ের যোগে এদের নাচ। এই নাচে রসনা বন্ধ ক’রে এরা সমস্ত দেহ দিয়ে কথা কইচে। ইঙ্গিতে এবং ভঙ্গী-সঙ্গীতে। এদের নাচে যুদ্ধের যে রূপ দেখি কোনো রণক্ষেত্রে সে রকম যুদ্ধ দূরতঃও সম্ভব নয়। কিন্তু যদি কোনো স্বৰ্গে এমন বিধি থাকে যে, ছন্দে যুদ্ধ করতে হবে এমন যুদ্ধ, যাতে ছন্দভঙ্গ হ’লে সেটা পরাভাবেরই সামিল হয় তবে সেটা এই রকম যুদ্ধই হ’ত। বাস্তবের সঙ্গে এই অনৈক্য নিয়ে যাদের মনে অশ্রদ্ধা বা কৌতুক জন্মায় শেক্সপিয়রের নাটক পড়েও তাদের হাসা উচিত-কেননা তাতে BDLLDLDSDLLDBDL DYSDDBBD DLBLDDDL LuBDD S BDBDBD আছে রূপের সঙ্গে গতি, এই সুযোগটিকে যথার্থ আর্টে পরিণত করতে গেলে আখ্যানকে নাচে দাড় করানো চলে। বলা বাহুল্য, বাইনাচ প্ৰভৃতি যে সব পদার্থকে আমরা নাচ বলি তার আদর্শ এ নাচের নয়। জাপানে কিয়োটোতে ঐতিহাসিক নাট্যের অভিনয় দেখেচি তাতে কথা আছে বটে, কিন্তু তার ভাবভঙ্গী চলাফেরা সমস্ত নাচের ধরণে, বড় আশ্চৰ্য্য তার শক্তি । নাটকে আমরা যখন ছন্দোময় বাক্য ব্যবহার করি, তখন সেই সঙ্গে চলাফেরা হাবভাব যদি সহজ রকমেরই রেখে দেওয়া হয় তাহ’লে সেটা অসঙ্গত হ’য়ে ওঠে এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। নামেতেই প্ৰকাশ পায় আমাদের দেশে একদিন নাট্য অভিনয়ের সর্বপ্ৰধান অঙ্গই ছিল নাচ। নাটক দেখতে যারা আসে, পশ্চিম মহাদেশে তাদের বলে অডিয়েন্স, অর্থাৎ শ্রোতাঁ। কিন্তু ভারতবর্ষে নাটককে বলেচে দৃশুকাব্য,-অর্থাৎ তাতে কাব্যকে আশ্রয় ক’রে চোখে দেখার রস দেবার জন্যেই অভিনয় । sB LBL BB DuDS B DBDD SS SDD D নাচও আছে। পশু রাত্রে সেটা গিয়ানায়ারের রাজবাড়ীতে দেখা গেল। সুন্দর সাজকরা দুটি ছোট মেয়ে,-মাথায় মুকুটের উপর ফুলের দণ্ডগুলি একটু নড়াতেই দুলে ওঠে । গামেলান বাদ্য ষত্রের সঙ্গে দু’জনে মিলে নাচতে লাগল। এই বাস্থ্যসঙ্গীত আমাদের ‘ সঙ্গে ঠিক মেলেনা । আমাদের দেশের জলতরঙ্গ বাজনা' আমার কাছে সঙ্গীতের ছেলেখেলা ব’লে ঠেকে। কিন্তু