পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3098) 二鹼。 পলাইত, সে বুঝত না। প্ৰসন্ন হয়তো আসিয়া দেখিত, রুগ্ন ছেলে ঘুম ভাঙিয়া “মা” “মা”। বলিয়া কঁাদিতেছে। কাহার কথা মনে করিয়া তাহার চোখদুটি জলে ভরিয়া আসিত। অন্যঘরে ললিতাও কোন রকমে দাতে দাত চাপিয়া পড়িয়া शैकिड् । রাখাল অনেকটা সারিয়া উঠিয়াছে। প্ৰসন্ন হাটে গিয়াছিল। সেই সুযোগে মায়ে-ছেলেয় সভা জমিয়াছে। সহসা পিতার কণ্ঠস্বরে চমকাইয়া উঠিয়া রাখাল মাকে ঠেলিয়া দিয়া চাপা গলায় কহিল, “বাবা এসেছে”। ললিতাও শশবান্তে উঠিয়া পড়িল। নিজের ঘরে গিয়া এই কথা স্মরণ করিয়া লজ্জায় তাহার মাটির সাথে মিশিয়া যাইতে ইচ্ছা! করিতেছিল। ছিঃ ছিঃ ! এই লুকোচুরি ঐ একফোঁটা निखत्र कांटछ७ लूकांटना नाश्! प्शन डांशब्र अर्षिकांब्र नाई। যেন সে চুরি করিতে গিয়াছে। কিন্তু কেন ? ললিতার সমস্ত মন বিদ্রোহী হইয়া উঠিল, কেন, কিসোর জন্য এই লাঞ্ছনা?—এখানে সে কেউ নয় ? ছেলের উপরে তাহার কোন দাবী নাই ? আর তাহার এই সত্য স্বাভাবিক অধিকারের যিনি পথ আটকাইয়া দাড়াইলেন, তিনিই তাহার স্বামী ! ঘরে আলো ছিল না । অন্ধকারে তাহার চোখ জলিতে লাগিল । কিছুক্ষণ পরে ছেলের কাল্প কানে আসিল। আরো কিছুক্ষণ পরে শুনিল যেন স্বামী তাহাকে ডাকিতেছেন। ললিত উঠিয়া বসিল। প্ৰসন্ন কহিল, “আমাকে একটু ওপাড়ায় একটা দরকারে যেতে হবে। ও কিছুতেই তো ছাড়ছেন। একটু যদি ঠেকিয়ে রাখতে পারো-”। এইমাত্র তাহার মন জলিতেছিল। তাহার উপর পুত্রের এই পিতৃশ্ৰীতির ন্যাকামি অসহ বোধ হইল। বিশেষ করিয়া এই 'आश्ब्रांप्रश्ब्र ख्औ । कहे कां कश्णि, 'एकन? आंभांब्र কাছে আবার কেন ? সারাদিন তো ল্যাজে ল্যাজেই রাখা হয়। আমি কে যে পরের ছেলের দায় ঘাড়ে করতে যাবো ?” * প্ৰসল্পর অসাধারণ ধৈৰ্য্যের বাধ আর টিকিতে চাহিল না, কহিল, “ললিতা, শুনেছি তুমি লেখাপড়া শিখেছি। হয় তো হৰে। কিন্তু মানুষ হ’তে শেখোনি। তুমি নিতান্ত ছোট।” ললিত হঠাৎ দাড়াইয়া উঠিয়া, বিশাল চক্ষু মেলিয়া གཝེག-fསེ སifསེ། ། ©७६ প্ৰসন্ন ছেলেকে বলিল, “চলরে” । ললিত সুমুখে সরিয়া আসিয়া দীপ্ত কণ্ঠে কহিল, “আমি निऊाख ८शॉ, स्त्रांव्र ड्रभिं-?' আর বলিতে পারিল না । রাখাল :তায় পাইয়া পিতার কোলের মধ্যে মিশিয়া যাইতেছিল। সে দিকে চাহিয়া আয় সহ হইল না। চুটিয়া গিয়া ছেলের হাত ধরিয়া এক টান মারিয়া, বলিল “হতভাগা ছেলে, আবার আদর জানানো छgघछ ! রাখালের দুর্বল শরীর সে প্ৰবল আকর্ষণ সহিতে পারিল না। সে মাটিতে পড়িয়া গেল। ভাঙা হাতখানা নীচে পড়ায়, উৎকট যন্ত্রনার একটা তীব্র চিৎকার করিয়াই সে অজ্ঞান হইয়া গেল । ললিত ধরিতে যাইতেছিল। প্ৰসন্ন তাহাকে ঠেলিয়া দিয়া ছেলেকে কোলে তুলিয়া অন্য ঘরে চলিয়া গেল। (ܢ অনেক রাত্রে রাখাল সুস্থ হইয়া অন্য ঘরে ঘুমাইতেছিল। প্ৰসন্ন ললিতার ঘরের সুমুখে আসিয়া দেখিল, সে তেমনি করিয়া মেঝের উপর উপুড় হইয়া পড়িয়া রহিয়াছে। মাথার কাপড়খানি সরিয়া গিয়াছে। এক বোঝা রুক্ষ চুল পিঠে মাটিতে গড়াগড়ি যাইতেছে। মনে হইল যেন তাহাতে অনেকদিন চিরুণি পড়ে নাই। অথচ বেশভূষার বিষয়ে ললিতার কোনদিনই ক্রটি ছিল না । সেই কঁচাসোনার মত রং যেন অনেকটা মলিন দেখাইল । প্ৰসন্ন অনেককাল স্ত্রীর দিকে চাহিয়া দেখে নাই। মনে হইল যেন আগের চাইতে অনেকটা রোগাও হইয়া গিয়াছে। অজ্ঞাতসারে তাহার মনের ভিতরটা যেন একটু দুলিয়া উঠিল। পরীক্ষণেই সমস্ত দুর্বলতা ঠেলিয়া ফেলিয়া প্ৰসন্ন কহিল, “শুনতে পাচ্ছে ?” अलिंडा भाथ। न। फूजिब्राई खदाब मिल, ‘कि ' প্ৰসন্ন একটু থামিয়া বলিল, “আমি ভাবছিলাম, তোমার কিছুদিন অন্য কোথাও গিয়ে থাকলেই ভালো হয়। অথবা আমরাই-” ললিতা অত্যন্ত সহজ কণ্ঠে কহিল, “বেশ যাবো।’ প্ৰসন্ন আবার বলিল, “তোমার যত টাকা লাগে। আমি পাঠিয়ে দেবো” । . I