পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনেক সময় পান নি। শক্রকে তিনি চিরকাল ক্ষমা বিবাহ ক’রেছিলেন, তাও যে কত গভীর কৰ্ত্তব্যবোধে তা” মৌলভী মহম্মদ আলি বিস্তারিতভাবে প্ৰমাণ ক’রে দিয়েছেন। তিনি আরও দেখিয়েছেন যে সেই ক্রীতদাস মহম্মদের কাছ থেকে মুক্তি আজ্ঞা পেলেও চিরজীবন স্বেচ্ছায় তার সেবাকাৰ্য্যে নিযুক্ত ছিল-পুনর্বিবাহের পরেও। এ সমস্তের খুঁটিনাটি আলোচনা এ প্ৰবন্ধে সম্ভবপর নয়। র্যারা মহম্মদ চরিত্রের সম্যক এবং সশ্রদ্ধ আলোচনা ক’রবেন, তারা জানতে পারবেন-মহম্মদের মনে নারীর আসন কতটা উচ্চে প্রতিষ্ঠিত ছিল। “স্বৰ্ণলতা মায়ের পদতলে”-এত মহম্মদেরই উক্তি । মহম্মদ কোনদিনই অপর ধৰ্ম্মের অসহিষ্ণুতার পরিচয় দেন নি। বরং অনেক ক্ষেত্রে এ বিষয়ে উদারতার পরিচয় দিয়েছেন-যে পরিচয় তিনি অপর পক্ষ থেকে [ পৌষ ক’রে এসেছেন ; যুদ্ধকে ঘৃণা ক’রলেও কৰ্ত্তব্য বুদ্ধি-প্ৰণোদিত হ’য়ে যুদ্ধে যোগদান করতে তিনি পশ্চাৎপদ হননি ; DDBBD BB DBBuB DDB BDBDBD D DBBBBDD DDD সম্পূর্ণ উপেক্ষা ক’রেছেন এবং সর্বোপরি জগতের সর্বভূতের উপর প্ৰেমে তিনি আপনাকে সুপ্ৰতিষ্ঠিত ক’রে গেছেন। মহম্মদের ধৰ্ম্মমতের আলোচনা করা এ প্ৰবন্ধের উদ্দেশ্য নয়। তেজে দীপ্ত, পবিত্রতায় উজ্জ্বল, প্ৰেমে নম্র এক মহাপুরুষের চরিত্রের একটু আভাষ এখানে দিতে চেষ্টা করিছি মাত্র । ধারা এই মহান চরিতের সহিত পূর্ণ ভাবে পরিচিত হ’তে চান, মৌলভী মহম্মদ আলির লিখিত জীবনচরিতখানি তাদের এ বিষয়ে সাহায্য ক’রবে । নানা কথা আমরা গভীর দুঃখের সহিত কবি রমণীমোহন ঘোষ মহাশয়ের দিল্লীতে আকস্মিক মৃত্যুর সংবাদ লিপিবদ্ধ করিতেছি। রমণীমোহন কলিকাতার জেনেরাল পোষ্টঅফিসে উচ্চ কৰ্ম্মে নিযুক্ত ছিলেন, মাত্র চার পাঁচ মাস হইল উচ্চতর পদে প্ৰতিষ্ঠিত হইয়া তিনি দিল্পী যান। রমণীমোহন সুকবি ছিলেন, তাহার রচিত মুকুর, উৰ্ম্মিকা, মঞ্জীর প্রভৃতি কাব্যগ্রন্থাবলীর সহিত সাহিত্যসেবী মাত্রই পরিচিত । তাহার ছোট ছোট গাথাগুলি সংগ্ৰহ করিয়া গত পুজার সময় তিনি যে কাব্যগ্ৰন্থখানি প্ৰকাশ করিয়া গিয়াছেন বঙ্গ-সাহিত্যে তাহাই তাহার C শুধু সাহিত্যিক হিসাবেই নয়, সহৃদয়তা এবং সৌজন্যে রমণীমোহন। একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ছিলেন। এমন অমায়িক, বন্ধুবৎসল, মিষ্টভাৰী, অকপট, ধীর, সজন ব্যক্তি কদাচিৎ দেখিতে পাওয়া যায়। তাহার শোক-সন্তাপ্ত আত্মীয়বর্গকে আমরা আমাদের গভীর সমবেদন জানাইতেছি। 臀 গত ২২শে, ২৩শে ও ২৫শে অগ্রহায়ণ কলিকাতা জোড়াসাকোয় ঠাকুরবাড়ীতে শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় রচিত “ঋতুরঙ্গ” কাব্য-নাটিকার অভিনয় হইয়া গিয়াছে। “ঋতুরঙ্গ” বিচিত্রায় প্রকাশিত “নটরাজের” রূপান্তর। অভিনয় অতিশয় হৃদয়-গ্ৰাহী হইয়াছিল ; কলিকাতার কাব্যরসপিপাসুগণ তিন দিন অপূর্ব কাব্যরসসুধা পান করিয়া পরিতৃপ্ত হইয়াছেন। “ঋতুরঙ্গে” কবির ভূমিকা গ্ৰহণ করিয়াছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। ঋতু পৰ্য্যায়ের ভিতর দিয়া বিশ্বরাজ তাহার যে অপুর্ব লীলা প্ৰকাশ করিতেছেন, ঋতুচক্রকে অবলম্বন। করিয়া জন্ম-মৃত্যু, সুখ-দুঃখ আলো-ছায়া, আরম্ভ-শেষের যে অবিরাম রসোল্লাস চলিয়াছে তাহার মৰ্ম্মটুকু উপলব্ধি ও উপভোগ করিতে র্তাহাদের বিলম্ব হয় নাই, যাহারা “খতুরিঙ্গে” রবীন্দ্রনাথের অপূর্ব অভিনয় দেখিয়াছিলেন। নটরাজের লীলামৃত্যের রূপ দর্শক-চক্ষের সম্মুখে প্রকট হইয়া डब्रिहिण।