পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

veO8 সহযোগী সাহিত্য GS শ্ৰীকান্তিচন্দ্ৰ ঘোষ মহাপুরুষদের জীবন চরিত রচনা করতে গেলে তাদের আদর্শের উপর বিশ্বাস এবং চরিত্রের উপর শ্রদ্ধা থাকা দরকার ৯ মৌলভী মহম্মদ আলির তা” যথেষ্ট পরিমাণে আছে । গোড়ামি জিনিষটা বর্জন ক’রতে হয় এবঃ মৌলভী মহম্মদ আলি তা’ ক’রতে যথাসাধ্য চেষ্টা ক’রেছেন । বইখানি প’ড়ে গ্ৰন্থকারের আদর্শ পুরুষ হজরত মহম্মদের সম্বন্ধে বেশ একটী শ্রদ্ধান্বিত ভাবে হৃদয়টি আপনিই পুর্ণ হয়ে যায়। আমাদের কল্পনা নেত্ৰে মহম্মদের যে চিত্রটি ভেসে ওঠে, তা” সমস্ত দেশে এবং সমস্ত যুগেই আদর্শ কুলীন-চরিত্র ব’লে কল্পিত হ’য়ে এসেছে—সৌজন্যে প্রতিষ্ঠিত একটি ভদ্রলোক, ব্যবহারে অমায়িক, বেশভূষায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, ভোগে জিতেন্দ্ৰিয়, ত্যাগে মহিমান্বিত, LDLLDB BuS DBDBCBu DDSDD LDBuD Bg BLBL মুখ মণ্ডল উদ্ভাসিত। মহম্মদ আচারে সুপ্ৰতিষ্ঠিত ছিলেন। মৃত্যুর দিন পৰ্য্যন্তও তিনি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার চিরাগত অভ্যাস ত্যাগ করেন নি । বিলাসিতাকে তিনি সম্যক বর্জন ক’রেছিলেন। সমগ্ৰ মদিনা যখন তার পদতলে, সৌভাগ্যের যখন সীমা ছিল না, তখনও তিনি বাস ক’রতেন একটিী সামান্য কুটীরে। এই কুটীরটা তিনি নিজের হাতেই পরিষ্কার ক’রে রাখতেন এবং তার আসবাবের মধ্যে ছিল শোবার জন্য একটী খাটিয়া, বসবার জন্য একটী সামান্ত আসন এবং জল রাখবার জন্য একটী সুরাই । আহারেও किकूभाल विभिछेडा छिल ना । अधिकांश्न भिनई डिनि খেজুর এবং জল খেয়েই ক্ষুধা নিবৃত্তি ক’রতেন। মদিনার ঐশ্বর্গ্যের আবহাওয়ায় অন্তঃপুরিকাদের এরূপ ভাবে জীবন যাপন লজ্জাস্কর হয়ে উঠেছিল। তারা এসে মহম্মদের কাছে অনুযোগ করাতে, তিনি উত্তর দিয়েছিলেন। --তোমরা তো ইচ্ছা ক’রলে সম্রাজ্ঞীর মতো থাকতে • পার, কিন্তু তা হলে মহম্মদের সহধৰ্ম্মিণী ব’লে কি ক’রে পরিচয় দেবে ? মহম্মদ সৰ্ব্বশুদ্ধ এগারটী বিবাহ ক’রেছিলেন। এই D DBBD DDDB BBBLL SZD DDD BBBDS গণ তাকে কি যে না ব’লেছেন, তার ঠিক নেই। বিষয়টিকে সম্যক ভাবে বোঝবার না চেষ্টা ক’রে তারা মহম্মদের পবিত্র চরিত্রে কলঙ্ক কালিমাটা এমন জমান নিশ্চিত হন্তে লেপন ক’রে গেছেন, যাতে অপরের পক্ষেও বিষয়টা বোঝা একটা দুরূহ ব্যাপায় হ’য়ে উঠেছে। মৌলবী মহম্মদ আলি তার পুস্তকের একটা সমগ্ৰ অধ্যায়ে ইহার আলোচনা ক’রেছেন। যতটা মনে পড়ে, আমীর ecifis "spirit of lslam'-tas a first sis আলোচনার বিশেষ কোন চেষ্টা নাই। মৌলভী সাহেব সুন্দরীরূপে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে মহমন্মদের সমস্ত বিবাহই কতটা উচ্চ আদর্শ প্রণোদিত ছিল-লালসার লেশমাত্র সম্পূহাবিহীন এই সব বিবাহে মহম্মদের মহৎ চরিত্রের করুণামিশ্ৰিত কৰ্ত্তব্যানুভূতির দিকটাই বেশী ক’রে পরিস্ফুট হ’য়ে উঠেছে। মহম্মদের অতি-বড় শত্রুও তার যৌবনে ও চরিত্রে উচ্ছঙ্খল অপবাদ আরোপ করেননি। পাঁচশ বৎসর বয়সে তিনি খাদিজাকে বিবাহ করেন, তখন খাদিজার বয়স ছিল প্ৰায় চল্লিশ । মহম্মদের একায় বৎসর বয়সের সময় খাদিজার মৃত্যু হয়। খাদিজার জীবিতকালে তিনি দ্বিতীয় দার পরিগ্রহ করেননি এবং তঁদের দাম্পত্য জীবন যে কত সুখের ছিল, তা”। তার শত্রুপক্ষও শতমুখে স্বীকার ক’রে গেছেন। এরূপ ব্যক্তি যে একান্ন বৎসর বয়সে লালসার বশবৰ্ত্তী হ’য়ে দার পরিগ্ৰহ ক’রবেন, তা” বিশ্বাস ক’রতে গেলে সম্ভব-অসম্ভবের মুথ্যের সীমারেখাটাকে মুছে ফেলতে হয়। সেকালের আরব সমাজে বিধবা এবং পরিত্যক্ত নারীর অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় ছিল । অনেক ক্ষেত্রে তাদের ঘৃণিত জীবন যাপন ক’রে গ্রাসাচ্ছাদনের ব্যবস্থা ক’রতে হ’ত। বাকী দশটী স্ত্রীর মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন। বিধবা এবং একজন ছিলেন পরিত্যক্ত নারী । মহম্মদ তাদের বিবাহ ক’রে যে শুধু তাদের প্রাণ এবং ইজ্জৎ বজায় রাখবার সহায়তা করেছিলেন তা” নয়, তাদের মৃত স্বামীর প্ৰতি কৰ্ত্তব্যানুরোধে তাদের নিজের স্ত্রী পরিচয়ে একটা সামাজিক প্ৰতিষ্ঠাও দিয়েছিলেন। বিবাহ না করে তখনকার আরব সমাজে নারীকে আর কোনরূপে সন্মানতাগিনী করবার উপায় ছিলনা। ক্রীতদাসের নারীকে তিনি যে