পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ প্রথম খণ্ড).pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৩৪ ] ভৌত্তিক প্রেম s እሞቅ. সন্তানের হাতের চা আপনি খাবেন। কিনা জানিনে, কিন্তু বেলের সঙ্গে খেয়ে দেখবেন এমন সুস্বাদু জিনিষ আর নেই! আমার নিবেদন যে, দাদাবাবুর কোষ্ঠীতে যে ফাঁড়াটা আছে সেটা কাটিয়ে দিন। : তিনি একবগগা লোক, কারো কথা শোনেন না, সুতরাং আপনি ছাড়া তাকে রক্ষা করবার আর এসময় কেউ নেই। কোনো রকমে চেষ্টা ক’রবেন যেন তার বিয়েটা শীগগির ঠিক হয়ে যায়, তাহলে আমরা সকলেই নিশ্চিন্তু হই ।” এইরূপে সজল নয়নে কাতরস্থরে খানিকটা প্রার্থনা করবার পর গদাধর দেপালে যে, চা-র পেয়ালটা উল্টে প’ড়ে গিয়েছে, অথচ কোনো দমকা হাওয়া সেদিকে আসেনি। কিম্বা পেয়ালার নীচে কোনো কীটপতঙ্গও ঠেলে ওঠেনি। উপরন্তু, সে যেন শুনলে কে বলছে, “তোর কোনো ভয় নেই’ । গদাধর কৃতাৰ্থ হয়ে পেয়ালার শেষের দু’। ফোটা চা প্ৰসাদস্বরূপ মাথায় ঠেকিয়ে বঁধানো ঘাটে গেল, ও সেখানে পেয়ালাটা ধুয়ে ফেলে এক দৌড়ে রান্নাঘরে ঢুকে বামন ঠাকুরের সঙ্গে রাত্রির খাবারটা বন্দোবস্ত ক’রতে বসল। সুবোধ তার শয়নগৃহের বাতায়নের মধ্য দিয়ে দেখছিল চারিদিকে ঘোর অন্ধকার। নিবিড় কাল মেঘ পূর্বদিকের আকাশে বিদ্যুচ্চটার সঙ্গে অগ্রসর হচ্ছিল। প্রকৃতির এই বিরাটপর্বের মধ্যে ক্ষুদ্র মানুষটি অদৃষ্টের কথা ভাবছিল। নিজের অদৃষ্ট, সমাজের অদৃষ্ট, দেশের অদৃষ্ট, জীবের জন্ম-মৃত্যু, প্রেম ও সংখ্যোর বন্ধন, জনকজননীর স্নেহ । * * . সুবোধের বাগানবাড়ী দোতলা । সেখান থেকে পুকুরপাড়ের বেলগাছটা বেশ দেখা যায়। দু’। তিনবার বিদ্যুতালোকে গাছটার সবুজপাতা সুবৰ্ণাভ হয়ে ঝলসে উঠল। সুবোধের মনে পড়ে গেল সেই ভূতের কথা । অত-বড় মেঘখানা আধঘণ্টার মধ্যে কেটে গিয়ে আকাশ ও বাতাসের সঙ্গে মিশে গেল। সজনে গাছের পরপারে দশমীর চাঁদ ধীরে ধীরে উঠছিল ষ্টি গুমোট গরমটা কেটে, গিয়ে শীতল বাতাস তখন উঠেছে। মনে কোনো সন্দেহ হ'লে ছুখয় সেটাকে চেপে রাখতে পারত না । সে ক্ষয় পাবার ছেলেও নয়। হয়। ভূত আছে, কিংবা নেই। আপাততঃ সেটার মীমাংসা না করাটা কাপুর বের কাজ । এই কথা ব’লে, একখানা ছড়ি নিয়ে, সে নিঃশঙ্কচিত্তে পুকুরের দিকে চলে গেল। تحت = "" 0ܢ যদি দৃষ্টিবিকার না ঘটে ~ থাকে তাহলে স্বীকার ক’রতেই হবে যে অপূৰ্ব্ব শ্ৰীসম্পন্না, লাবণ্যময়ী, দীর্ঘকেশা, কৃশাঙ্গী একটি মেয়ে বাধাঘাটের তৃতীয় সোপানে আবীছায়ার মতো আরাম ক’রে বসে আছে । হাতে দুগাছি কঁচের চুড়ি, পরিধানে একখানা কালাগে ড়ে ফরাসডাঙ্গার কিংবা শান্তিপুরের শাড়ী, এলোচুল, প্ৰসন্নমুণ। চাঁদের আলোতে দেখাচ্ছিল এক পান। ছবির মতো । স্বভাবত সুবোধের গা শিউরে উঠল। কিন্তু সেটা ভীতির শিহরণ। খুব সাহসী লোক যারা, তাদেরও ভূত দেখলে সৎবাষ্প হয়। কিন্তু সটান পলায়ন, বিশেষতঃ স্ত্রীলোক দেখে, নিতান্ত লজ্জার কথা ! খানিকক্ষণ একদৃষ্টে ঢ়েয়ে পেকে সুবোপ একটু গলা পরিস্কার করে বললে, “কেও’ ? বলা বাহুল্য সেটা কম্পিতিস্বর। ভীতির Psychology লোপ • হয় আপনার "শুনে KDDDD DBBDBD S DDDDDLLDBDBB BOBBEBD S SBB YY BBDS সে ভয়াবহ পদার্থে তন্ময় হয়ে পড়ে। এটা একটা Mediumistic gywir ಇತಪ್ಪಾ! 科* 所* マー”でエ ভয় পেয়েছিলেন । আমরাও এক সময় সাহেব দেখলে BDBD EDBDBDS gDO BBBD SiDS BDBS uDuKSDS i প্রভৃতি , বলে থাকি। যা-হোক, মেয়েটি একটু হোসে ধীরে ধীরে বললে,-“মাফ করবেন, আমি একজন trespasser,_ঐ বেলগাছে বাসা করেছি। কিন্তু ভয় পাবেন না ; আমার দ্বারা আপনার কোনো অনিষ্ট: ঘটবে না, সেটা নিশ্চয়।” প্ৰত্যেক কণাই অতি মধুর বীণা-ধ্বনির মতো সুবোপের কানে বাজ ছিল। কিন্তু সুবোধের নির্বক ও নিম্পন্দ ভাব দেখে সে আবার বললে,-“এত ভয় কিসের ? আপনাদের বেলগাছে অনেক পাখী এসে বাস করে, তাদের দেখে ত আপনি . কখনো ভয় করেন না । बहिः ।