পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ প্রথম খণ্ড).pdf/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

थींद्र Sीनऊँीभष्ठ चत्रिक জানি না কোন মহাত্মা কোন ‘আদিম বসন্ত-প্রাতে’ চিন্তা-সমুদ্র মন্থন ক’রে এই অপুৰ্ব্ব সুধা তুলেছিলেন। আগুন ও অক্ষরের আবিষ্কৰ্ত্তাদের মত র্তার নামও সভ্যতাপ্রাসাদের ভিত্তি-প্ৰস্তরে খোদাই হ’য়ে থাকা উচিত। “দ্রব্যের বিনিময়ে দ্রব্য বা যথোপযুক্ত মুল্য' এই সনাতন বর্বর প্রথার শাসনে মানুষের জীবন যখন অতিষ্ঠা হয়ে উঠেছিলো, তখন তিনিই সেই দাবিদগ্ধ মরুভূমিতে প্ৰথম শান্তির বারি। প্ৰক্ষেপ করলেন ; মানুষের জীবন স্নিগ্ধ শুঠামল হয়ে উঠলো-মানুষ হাঁপ ছেড়ে বাছিলো। অবশ্য নগদ মুলোর বিভীষিকা এখনো পৃথিবী ততে একেবারে অন্তষ্ঠিত হয়নি। এখানো আপণ-বিপণীতে “ধারে কারবার নাই” “তাতে তাতে দাম চাই’ প্ৰভৃতি নিষ্ঠুর মৰ্ম্মের বাক্যবিন্যাস দেখতে পাওয়া যায়। হিংস্র৷ শ্বাপদের বিকট দংষ্ট্রাবলির ন্যায় ঐ সকল বিধি-জ্ঞাপক অক্ষরগুলি নিরীহ পাচারী পথিকেরও দর্শনমুগ্ধ নেত্রদুটিকে কি এক অজানা ব্যথায় ব্যথিত করে তোলে,-কি এক অজানা ত্ৰাসে তার “ফুটনোমুখ অন্তরাত্মা শিউরে বুজে যায়। মানব-হৃদয়ের প্রতি এ কি অযাচিত অপ্ৰত্যাশিত অত্যাচার। তবে আশা আছে। এ অত্যাচার বেশী দিন টিকবে না-জগৎ একদিন শুধু ধারেই চলবে। T ধার। এমন গাল-ভরা মধুর নাম, এমন কান-জুড়ানো, প্ৰাণ-কেড়ো-নেওয়া কথা কে আমদানি করলে ? এ নাম DDBDBD DBBDDB BBDBD SDDDS gEBDSSBDBBES এ নাম জপূতে জপূতে কত কাপ্তেন পোস্য-পুত্রের উডডীয়মান দেহ আবেশে অবশ হয়ে এলিয়ে পড়ে, কত বনেদী সদাগরের সুপ্রিতিষ্ঠিত গণেশও দেখতে দেখতে উল্টে যায়। ধারার্ণবতন্ত্রে লেখা আছে যে, এ নাম লক্ষ বার জপ করলে মানুষ ধারসিদ্ধ হয়- অর্থাৎ ধারের অবিশ্ৰান্ত উষ্ণ ধারাণিতেও আর গায়ে ফোঙ্কা পড়ে না । See ধারা ! ধারের প্রভাবেই জগতের কৰ্ম্মস্রোত জরাক্রান্ত রোগীর নাড়ীর মত পুর্ণ দ্রুততালে চ’সেচে। ধার তুলে দাও, দেখবে এক নিমেষেই সংসার-কলের বিজনেস-চাকা দমফুরানো লাটুর মত স্থির হয়ে দাড়িয়েচে । ধার ! কে বলবে যে আমি ধারের ধার ধারি না বা ধারের ধার দিয়ে যাই না ? এ ধারে না। কাটে এমন দুঃসময় অভাব্য, এ ধারে না সিঞ্চিত হয় এমন কৃতকাৰ্যাত দুর্লভ। ধার নেই কার ? রাজা প্ৰজার কাছে দু’হাত পেতে ধার নিচে। য়ুরোপ ইহুদীদের ধারেই মানুষ, ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি শেঠেদের ধার দিয়েই গাড়া । ধার করে না। কে ? সমুদ্র মেঘের কাছ থেকে জল ধার করে, চন্দ্ৰ সুৰ্য্যের কাছ থেকে আলো ধার করেন, বোধ হয়। উপযুক্ত *পাট’ পেলে ভগবান ও কিছু বুদ্ধি ধার করেন। ধার নেয় না কে ? আমার চাকর কাবলী-আলার কাছে ধার নিয়েচে, আমি মাড়োয়ারীর গদীতে হুণ্ডী কেটেছি, আমার সাহেব ব্যাঙ্কে আর ‘লোন-আপিসে” “ক্রেডিট’ বাধা দিয়েচেন । ক্রেডিটু ! কি সুন্দর এই অশরীরি বস্তু ! এ-কে চোখে দেখা যায় না, হাতে ধরা যায় না, অথচ কৰ্ম্ম-ফলের মত এ সঙ্গে সঙ্গেই আছে। যার ক্রেডিট নেই তার বেঁচে থাকাই ভুল। “ক্রেডিট’ কি ? ধারের উল্টো পিঠ। দার্শনিক ভাষায় “ক্রেডিট’ হচ্চে ধারের সম্ভাবনা, আর ধার হচ্চে সভূত “ক্রেডিট’। বিজ্ঞানের ভাষায় “ক্রেডিট’ হচ্চে ‘লেটেণ্ট ধার, আর ধার হচ্চে ‘কাইনেটিক ক্রেডিট’। আর শাদা লোকের শাদা কথায় “ক্রেডিট’ হচ্চে সোনা আর ধার হচ্চে কষ্টিপাথর; অর্থাৎ “ক্রেডিট’র দর কমচে কি বাড়াচে তা ধার করতে গেলেই বোঝা যায়। “ক্রেডিট’র জোয়ার ভাটা আছে। কিন্তু সম্পন্নতা ভিন্ন যে “ক্রেডিট’র নদীতে জোয়ার ডাকে না তা নয়। যিনি করিভুক্ত কপিখবৎ ফোপর তিনিও অনেক সময়ে