পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ প্রথম খণ্ড).pdf/৩৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S008 ) দিয়ে আমাদের চ’ল৷তই না। তোমার পাহাড় কেমন লাগল আমাকে লিখো। হিমালয়ে আলমোড়-পাহাড়ের চেয়ে ভাল পাহাড় ঢের আছে, আলমোড়া ভারি নেড়া পাহাড় ; ওর গাছপালা নেই। আর ওখানে থেকে হিমালয়ের তুষার-দৃশ্য তেমন ভাল ক’রে দেখা যায় না। ইতি 27 SM, Y OTRt ֆ Ֆ) শান্তিনিকেতন আজ সকালে তোমার চিঠি পেলুম। তখন তা আমার সময় থাকে না, তাই এপন পাওয়ার পরে লিখতে বসেচি। আর খানিক পরে ম্যাট্রিক-ক্লাশের ছেলেরা দল বেঁপে খাতাপত্র নিয়ে হাজির হবে। তুমি যে নিয়ম ক’রে দিয়ে গিয়েছিলে, আজকাল সে আর পালন করা হ’য়ে ওঠে। না; খাওয়ার পরে দুপুর-বেলায় শোওয়া একেবারে ছেড়ে দিয়েচি-সেই ডেস্কের সামনে সেই চৌকি নিয়ে আমার দিন কাটে। সে জন্যে আমার নালিশ নেই, কাজের দরকার প’ড়লেই কাজ ক’রতে হবে। পৃথিবীতে ঢ়োর লোক আমার চেয়ে ঢের বেশি কাজ করে-সেও আবার অফিসের কাজ-অর্থাৎ সে-কাজ পেটের দায়ে, মনের আনন্দে নয়। আমি যে ছেলেদের পড়াই সে ত দায়ে প’ড়ে নয়, সে নিজের ইচ্ছায় -অতএব এ-রকম কাজ ক’রতে পারা ত সৌভাগ্য। কিন্তু তবু এক একবার দরজার ফঁাকের ভিতর দিয়ে এই সবুজ পৃথিবীর একটা আভাস যখন দেখতে পাই তখন মনটা উতলা হ’য়ে ওঠে। আমি যে জন্মকুড়ে। যেমন বঁাশির ফাকের ভিতর দিয়ে সুর বেরোয়, তেমনি আমার কুঁড়েমির ভিতর থেকেই আমার যেটি আসল কাজ সেইটি জেগে ওঠে। আমার সেই আসল কাজই হ’চ্চে বাণীর কাজ। সময়টাকে কৰ্ত্তব্য দিয়ে ভরাট ক’রে একেবারে নিরেট ক’রে দিলে বাণী চাপা পড়ে যায়। সেই জন্যই আমাকে কেবল কাজ থেকে নয়, সংসারের नाना अणि दहन (थक सूर्षोंगठस भूख शांक्ड हम। কাজই হোক, আর মানুষই হোক, আমাকে একেবারে ভানুসিংহের পত্রাবলী NOSA চাপা দিলে বা বেঁধে ফেলে আমার औदन दार्थ ह'ड থাকে। আমার মন ওড়বার জন্যে শূন্তকে চায়। তাকে খাচায় বঁধবার আয়োজন যতবার হ’য়োচে, সেই আয়োজনের শিকল ছিন্ন হ’য়ে পড়ে গেছে। হঠাৎ একদিন দেখতে পাবে আমার কাজকৰ্ম্মের দাড়াপান তা’র শিকল নিয়ে কোথায় পড়ে আছে, আর আমি অত্যুচ্চ অবকাশের আগাড়ালের উপর অসীম ফলাকার মধ্যে একলা বসে গান জুড়ে দিয়েচি। তাই বলচি-দরজা-জানলার আড়াল থেকে ঐ নীলে সবুজে সোনালিতে মেশানো ফাকার একটা অংশ যেমনি দেপতে পাই, অমনি আমার মন এই ডেস্কের ধার থেকে ধ’লে ওঠে-ঐপানেইত আমার জায়গা, ঐ ফাকাটাকে ধে আমার আনন্দ দিয়ে, গান দিয়ে ভ’রে তুলতে হবে । পুকুর আছে মাটির বাধা দিয়ে ঘেরা-সেইখিানেই তা'র কাজ, কেউবা স্নান ক’রচে, কেউবা জল ভুলচে, কেউবা বাসন মাজচে । কিন্তু আমি হ’চ্চি মেন্ধের মত ; আমাকে ত তেটের ঘের দিলে চ’লবে না, আমাকে বাধতে গেলে ত বাধা পড়ব না—আমাকে যে ঐ শূন্যের ভিতর দিয়ে বর্ষণ ক’রতে হবে। সব সময়েই ধে বৃষ্টি ভ'রে আসে তা” নয়, অনেক সময়ে অলস-স্বপ্নের মত সুৰ্য্যের আলোতে রঙিয়ে উঠে কিছুই না ক’রে ঘুরে বেড়াই, কিন্তু এই কুঁড়েমিটুকু উপর থেকে আমার জন্যে বরাদ্দ হ’য়ে গেছে, এজন্যে আমি কারো কাছে দায়িক নই। সবই ত বুঝলুম, কিন্তু কুঁড়েমি ক’রি কপিন বল ত ? তুমি ত দেপেই গেছ কাজের আর অন্ত নেই । ঘোড়াকে বিধাতা বাতাসের মত দ্রুতগামী এবং মুক্ত ক’রে সৃষ্টি ক’রেছিলেন, কিন্তু সেই ঘোড়াকেই মানুষ জিনে-লাগামে আষ্টে-পৃষ্টে বেঁধে ফেলে। আমারও সেই দশা। বিধাতার ইচ্ছা ছিল আমি ভরপুর কুঁড়েনি ক’রে কাটাই, কিন্তু যে-গ্রহের হাতে প’ড়েছি সে আমাকে ক’যে পাটিয়ে নিচে । বয়স যখন অল্প ছিল, তখন খাটুনি এড়িয়ে, ইস্কুল পালিয়ে পদ্মার নির্জন চরে বোটের মধ্যে লুকিয়ে বেশ চালাচ্ছিলুমকিন্তু যখন থেকে তোমার পঞ্জিকা অনুসারে আমার KKS SDD DDD DLLS BOB LBDBD DBDBDBS আপনি ধরা দিয়ে কেটে বেরবার আর পথ পাইনে।