পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ প্রথম খণ্ড).pdf/৯০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেনীলটুর সুরু থেকে শেষ পৰ্যন্ত একটি দিকে নানান গাছ, बङ्ग कृदन्न गाशोना, बङ्ग कन्न अकिङ, অন্যদিকে ঘুঘু করা মাঠ, খামলতার আভাসটুকুও নেই। কেনালের দুই দিকেই পাথরের পাহাড়, যেদিকে মিশর সেই দিকেই বেশি। এই পাহাড়গুলিতে যেন যাদু আছে, দেখলে মনে হয় যেন কোনো কিউবিষ্ট এদের আপনি খেয়াল মতো জ্যামিতিক আকার দিয়েছে আর এক-একটু পাহাড়কে এক-একটা পাথর কুঁদে গড়েছে। কেনালটি যেখানে ভূমধ্য সাগরে পড়েছে সেখানে একটি শহর দাড়িয়ে গেছে, নাম পোর্ট সৈয়দ । জাহাজ থেকে নেমে শহরটায় বেড়িয়ে আসা গেল। শহরটার বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট ফরাসী প্ৰভাবের সাক্ষ্য দেয়। কাফেতে খাবার সময় ফুটপাথের ওপর ব’সে খেতে হয়, রাস্তায় চলবার সময় ডানদিক ধ’রে চলতে হয়। পোর্ট সৈয়দ হলো নানা জাতের নানা দেশের মোসাফিরদের তীর্থস্থলকাজেই সেখানে তীর্থের কাকের সংখ্যা নেই, ফাক পেলে একজনের ট্যাকে টাকা আরেকজনের ট্যাকে ওঠে। • পোট সৈয়দ মিশরের অঙ্গ। মিশর প্রায় স্বাধীন দেশ। ইউরোপের এত কাছে বলে ও নানা জাতের পথিক-কেন্দ্ৰ ব’লে মিশরীরা ইউরোপীয়দের সঙ্গে বেশি। মিশতে "পেরেছে, তাদের বেশি অনুকরণ করতে শিখেছে, তাদের দেশে অনায়াসে যাওয়া আসা করতে পারছে। ফলে ইউরোপীয়দের প্রতি তাদের অপরিচয়ের ভীতি বা অপরিাচয়ের অবজ্ঞা নেই, ইউরোপের স্বাধীন মনোবৃত্তি তাদের সমাজে ও রাষ্ট্রে সঞ্চারিত হয়েছে। মিশরীয় মুসলমান, কিন্তু আমাদের মুসলমানদের সঙ্গে এদের অশেষ অমিল। মিশরী মেয়েরা এখনো কালো ওড়না দেয় বটে, এবং মিশরের নারী এখনো তুর্ক নারীর মতো স্বাধীন হ’তে পারেনি বটে, তবু ভূমধ্যসাগরের ওপারের হাওয়া মিশরের নারীকেও চঞ্চল ক’রে তুলছে। ইউরোপীয়দের সঙ্গে পাল্লা দেবার আঞ্জুরীশী পুরুষরা এর প্রশ্ৰয় দিচ্ছে। যেমন দেখা যাচ্ছে, আয় কয়েক বছরে মিশর ইউরোপের মাঝারি শক্তিদের সঙ্গে এক সারিতে দাড়াতে পাৰে। ইউরোপীয় गञ्ॉब शिक्षणी बाऐलिप्या चांगा 'निप्प्स् <டு waterg অধিকাংশ পুরুষের গায় ইউরোপীয় পরিচ্ছদ ও মাথায় মুসলমানি ফেজ। তুর্কীরা ফেজ ও ছেড়েছে, দক্ষিণ ইউরোপীয়দের সঙ্গে তাদের রঙের অমিল না থাকায় বাইরে থেকে তাদেয় ইউরোপীয়ই মনে হয়। জাপানীরাও ইউcases; viss. KcRCE - fifre Sefase | sec(C-is লোক ব’লে ঐ পরিচ্ছদ পরে ওরা আরামও পায়। আমাদের দেশে যখন কোট ও শাট সকলেই পরছে তখন এক জোড়া ট্রাউজাস কি অপরাধ করলে ? এটুকু যোগ ক’রে দিলে আমাদের পুরুষদের পোষাকও মোটামুটি ইউরোপীয় পোষাক হ’য়ে যায়। যা ছিল ইউরোপীয় পোষাক তাই এখন হয়েছে আন্তর্জাতিক পোষাক। কিন্তু আমাদেরা গরম দেশে এ পোষাক আটপৌরে হবার আশা নেই, এবং আমাদের গরীব দেশে এ পোষাক সাৰ্ব্বজনীন হবারও সঙ্গতি নেই। তবু ইউরোপীয় পোষাকের জয়জয়কার দেখে এই মনে হয় যে একদিন ও পোষাক আমাদের কাছে বিজাতীয় • বোধ হবে না, আন্তর্জাতিক বোধ হবে। কলার টাইয়ের কথা বলছি নে, স্বয়ং ইউরোপ কলার টাইয়ের তিরোধান চায়, কিন্তু কোটের সঙ্গে ধুতির চেয়ে কোটের সঙ্গে ট্রাউজার্স অনেক যুক্তিযুক্ত ও অনেক সুসঙ্গত। সেকালের গ্রীসে ও রোমে কোটি ট্রাউজাস ছিল না, সেকালৈর রাশিয়ার মেয়েরা ঘোমটা দিত ও অন্তঃপুরে থাকৃত ; কিন্তু একালে ইউরোপের এক প্ৰান্ত থেকে অপর প্রান্ত পৰ্যন্ত একই বেশ একই ভুবা। ইউরোপের উপনিবেশ গুলিতে ও ইউরোপের আশেপাশের দেশগুলিতেও তাই। ভারতবর্ষ। ক’দিন এর প্রভাব কাটিয়ে থাকবে ? ঠিক এই রকম না হোক এর কাছাকাছি কোনো পোষাক ভাৰী ভারতবর্ষকে গ্ৰহণ করতেই হবে। আমাদের দেশে যে পরিচ্ছদ-বিভ্ৰাট ঘটেছে তা যেমন দৃষ্টিকটু তেমনি রুচিহীন। মেয়েদের কথা বলছিনে। আমাদের মেয়েরা স্বভাবশিল্পীর মতো কি গ্ৰহণ ক’রে কি বর্জন করতে হয় তা জানে। তবে ইউরোপের মেয়েদের মতো আমাদের মেয়েরাও খেলা-ধূলায় যোগ দেবে ও চুটে চুটি পথ চলবে সেই অবশুভাৰী দিনে আমাদের cमानव भी हब ७लटन फैब कि पांचांव नंदी