পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৮
বিদ্যাসাগর।

গর্জন করিতে করিতে পলায়ন করিল। পরে ভট্টাচার্য সবলে রথখানা একাকী টানিয়া ফেলিয়া দেন। দুর্দান্ত বীরের বিক্রমব্যাপার দেখিয়া প্রতিপক্ষ পলায়ন করেন। ভট্টাচার্য্য ক্রোধান্বিত হইয়া একাকী তাঁহাদের পশ্চাৎ ধাবিত হন। প্রতিপক্ষের দলপতি হালদার ভয়ে বাটীর দ্বার রুদ্ধ করিয়া দেন। ভট্টাচার্য্য পদাঘাতে লৌহকীলকবিশিষ্ট দ্বার ভগ্ন করিয়া বাড়ীতে প্রবেশ করেন। তাঁহার পায়ে একটা লৌহশলাকা ফুটিয়া গিয়াছিল। তাহাতেও তাঁহার ক্রক্ষেপ ছিল না। তাহার শ্যালক ও অন্যান্য আত্মীয়বর্গ আসিয়া, তাঁহাকে ধরিয়া ফেলিয়া বলিলেন,— “ভট্টাচার্য্য করিয়াছ কি, পায়ে যে পেরেক ফুটয়াছে।” ভট্টাচার্য্য বলিলেন,—“বটে বটে, টানিয়া বাহির করিয়া লও। “পেরেক বাহির করা হইল। ভট্টাচার্য্যের নিবৃত্তি নাই। তিনি প্রতিপক্ষের দলপতি হালদারের অন্বেষণে বাড়ীর ভিতরের দিকে ছুটিলেন। দলপতির লোকের তয়ে তাঁহাকে এমনই স্থানে ভয়ঙ্কররূপে ইষ্টকাঘাত করেন যে, তাহাতে ভট্টাচার্য্য বড় কাতর হইয় পড়েন। তখন তাঁহার আত্মীয়েরা তাঁহাকে ধরাধরি করিয়া বাড়ীতে লইয়া আসেন।

 প্রতিপক্ষের দল ভাবিলেন,—ভট্টাচার্য্যকে সাংঘাতিক আঘাত লাগিয়াছে; তিনি বোধ হয়, আদালতে নালিশ করিবেন। ভট্টাচার্য্যের মনোগতভাব জানিবার নিমিত্ত তাঁহারা এক জন চর পঠাইয়া দেন। ভট্টাচার্য্য চরকে দেখিয়াই তাহার অতিপ্রায় বুঝিলেন। তিনি বলিলেন,—“হালদার ভাবিয়াছে, আমি নালিশ করিব। নালিশ করিব কি রে! উকিল পেয়াদাকে পয়সা খাওয়াইব? এবার সে মারিয়াছে, আগামী বারে আমি