পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শ্রম।
৮৭

ইহাতে তো মহতের মাহাত্ম্য-ক্রটী হয় না; বরং এই সব কথা শ্রোতার মুখ হইতে প্রচারিত হইয়া, সাধারণের অনেক বিষয়ে শিক্ষাস্থানীয় হয়।

 অলঙ্কারের শ্রেণীতে পড়িবার সময় তাহাকে দুই বেলা রন্ধন করিতে হইত। রন্ধন-ভারে ও গুরুতর পাঠপরিশ্রমে তিনি উদরাময় রোগে আক্রান্ত হন। প্রত্যহ রক্তভেদ হইত। কলিকাতায় রোগ আরাম হইল না। অগত্য তাঁহাকে পল্লীগ্রামে যাইতে হইল। সেখানে দিনকতক থাকিলে রোগ সারিয়া যায়। তিনি কলিকাতায় ফিরিয়া আসেন। আবার সেই রন্ধন ও অধ্যয়ন। তবে মধ্যম ভ্রাতা দীনবন্ধু বন্দ্যোপাধ্যায় অনেকটা সাহায্য করিতেন এবং মধ্যে মধ্যে বাজারও করিয়া দিতেন। একদিন দীনবন্ধু, সন্ধ্যার সময় বাজার করিতে গিয়া, যোড়াসাঁকোর নূতন বাজারের এক স্থানে বসিয়া ঘুমাইয়া পড়িয়াছিলেন। ঈশ্বরচন্দ্র অনেক রাত্রি পর্য্যন্ত ইতস্ততঃ বহু দিকে অনুসন্ধান করিতে করিতে নুতন বাজারে যাইয়া ভ্রাতাকে নিদ্রিত অবস্থায় দেখিতে পান এবং তথা হইতে তাহাকে তুলিয়া লইয়া আসেন। শুনিতে পাই, ইহার পর হইতে ঈশ্বরচন্দ্র ভ্রাতা দীনবন্ধুকে আর বড় একটা একাকী বাহিরে যাইতে দিতেন না।