পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



ষষ্ঠ অধ্যায়।

সংস্কৃত-রচনা, পরীক্ষার ব্যবস্থা, পরীক্ষার রচনা, অনুরোধে
রচনা, স্বেচ্ছায় রচনা ও আমাদের বক্তব্য।”

 কলেজের পাঠ সমাপ্ত করিয়া ঈশ্বরচন্দ্র চাকুরীতে প্রবৃত্ত হন। পরবর্তী অধ্যায় হইতে তদ্বিবরণের বিবৃতি আরম্ভ হইবে। সংস্কৃত কলেজে পাঠের সময় তিনি যে সব রচনা লিখিয়াছিলেন, তাহার একত্র সমাবেশ হইলে পাঠকগণের পড়িবার সুবিধা হইবে বলিয়া এই অধ্যায়ে সেই সমস্ত সন্নিবেশিত হইল।

 রচনা সাহিত্য-শিক্ষার সবিশেষ সাহায্যকারিণী। রচনায় সাহিত্যের শিক্ষা-পুষ্টির পরিচয়। যে সময় ঈশ্বরচন্দ্র সংস্কৃত কলেজে পড়িতেন, সে সময় রচনার উৎকর্ষ-সাধনজন্য কলেজের ছাত্র, শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষের যথেষ্ট যত্ন চেষ্টা ছিল। কেবল সংস্কৃত কলেজে সংস্কৃত শিক্ষার জন্য নয়, ইংরেজী কলেজেও ইংরেজি শিক্ষার জন্য, রচনার সম্যক্ বিধি-ব্যবস্থা দেখা যাইত। উৎসাহে উৎকর্ষ। এই জন্য ছাত্রবৃন্দের রচনাবিষয়ে উৎসাহ-বৰ্দ্ধনার্থ যথোচিত পারিতোষিক বিতরণের বন্দোবস্ত ছিল। রচনার পরিপটি প্রকৃত পক্ষে পরীক্ষক ও কর্তৃপক্ষের পরম প্রীতি-উৎপাদন করিত। পিতৃদেবের মুখে শুনিয়াছি,—“তখন রচনার জন্য যেমন ছাত্র-শিক্ষকের আগ্রহ দেখা যাইত, এখন আর তেমন বড় দেখা যায় না। এখনকার মত তখন বিশ্ববিদ্যালয়ী বিমিশ্র শিক্ষার বাঁধাবাঁধি তো ছিল না। তখন যাঁহার যে বিষয়ে স্বাভাবিক প্রবৃত্তি থাকিত, তিনি সে বিষয়েরই উৎকর্ষ-সাধনের সুযোগ পাইতেন। যাহার সাহিত্যে প্রবৃত্তি, তিনি সাহিত্যের উৎকর্ষ-সাধনে যত্নশীল হইতেন।