পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সংস্কৃত রচনা।
৯৭

হাস্য করিয়া বলেন,—“সংস্কৃত ভাষায় বুৎপত্তি থাকিলেও বিশুদ্ধ সংস্কৃত রচনা দুরূহ বলিয়া আমার বিশ্বাস।”

 বিদ্যাসাগর মহাশয় সংস্কৃত রচনায় সহজে অগ্রসর হইতেন না বটে; কিন্তু যখনই রচনায় প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন তখনই সর্ব্বোচ্চ স্থান অধিকার করিয়া পারিতোষিক পাইয়াছিলেন।

 টোলে রচনার প্রথা নাই। সংস্কৃত কলেজে প্রথমতঃ তাহা ছিল না। ইংরেজির প্রণালীমতে ১৮৩৮ খৃষ্টাব্দে বা ১২৪৫ সালে, সংস্কৃত কলেজে এ প্রথা প্রবর্তিত হয়। এই বৎসর নিয়ম হয়,— স্মৃতি, ন্যায়, বেদান্ত—এই তিন উচ্চশ্রেণীর ছাত্রদিগকে বার্ষিক পরীক্ষায় গদ্যে ও প্দ্যে সংস্কৃত রচনা করিতে হইবে। এই নিয়মানুসারে ঐ বৎসর সংস্কৃত গদ্য “সত্যকথনের মহিমা” সম্বন্ধে, রচনার বিষয় ছিল।বেলা দশটা হইতে ১টা পর্য্যন্ত এই রচনা লিখিবার সময় নির্দ্ধারিত ছিল। বিদ্যাসাগর মহাশয় নিম্নে প্রকাশিত রচনা লিখিয়া ১০০ এক শত টাকা পুরস্কার পাইয়াছিলেন।


সত্যকথনের মহিমা।

 সত্যং হি নাম মানবানাং সার্ব্বজনীয়বিশ্বসনীয়তায় হেতু। তথ্যবিধায়শ্চি বিশ্বসনীয়তায়াঃ ফলমিহ বহুলমুপলভ্যতে। তথাহি যদি নাম কশ্চিৎ সত্যবাদিতয়া বিনিশ্চিতো ভবতি সর্ব্ব এব নিয়তং তবচসি সম্যগ বিশ্বসন্তি। সত্যবাদী হি সততং সজ্জননসংসদি সাতিশয়ং মাননীয়ঃ সবিশেষং প্রশংসনীয়শ্চ ভবতি।

 যে হি মিথ্যাবাদী ভবতি ন কোহপি কদাচিাপি তস্মিন

১৩