পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গলা চিঠি।
১৩৯

সময়ে ডাক্তার মৌয়েট্, সাহেব এডুকেশন কৌন্সিলের সেক্রেটরী ছিলেন। তিনি সময়ে সময়ে সংস্কৃত বিদ্যা ও হিন্দুধর্ম্মসংক্রান্ত কোন কথা জানিবার প্রয়োজন হইলে মার্সেল্ সাহেবকে জিজ্ঞাসা করিতে যাইতেন; মার্সেল্ সাহেব, বিদ্যাসাগর দ্বারা মৌয়েট্ সাহেবের জিজ্ঞাস্য বিষয়ের মীমাংসা করিয়া লইতেন। এই সূত্রে মৌয়েট্ সাহেবের সহিত বিদ্যাসাগরের পরিচয় হয়। তদবধি ইনি বিদ্যাসাগরের প্রতি অত্যন্ত সন্মান ও বিশ্বাস করিতেন। ক্রমে ক্রমে তাঁহার পরমাত্মীয় ও যারপর নাই হিতৈষী হইয়া উঠিয়াছিলেন।”

 মার্সেল্ সাহেব বিদ্যাসাগর মহাশয়ের নিকট সংস্কৃত পড়িতেন। তিনি বেশ বাঙ্গলা শিথিয়াছিলেন। বিদ্যাসাগব মহাশয়ের সঙ্গে বাঙ্গালায় কথাবার্ত্তা কহিতে ভলিবাসিতেন। আবশ্যক হইলে বিদ্যাসাগর মহাশয় তাঁহাকে বাঙ্গালায় চিঠিপত্র লিখিতেন। এক বার তাঁহার বাড়ীতে আত্মীয়ের অসুখ হওয়ায়, তিনি কার্য্যে উপস্থিত হইতে পাবেন নাই। এঁই কথা বলিয়া বাঙ্গলায় চিঠি লিখিয়া পাঠাইয়া দেন, চিঠিখানি এইখানে প্রকাশ করিলাম,—

শ্রীশ্রীদুৰ্গা

শবণং।

সবিনয় নিবেদনং—

 অদ্য আমার পিতৃব্যপুত্ত্রের প্রাতঃকালাবধি চারি বার ভেদ হইয়াছে ২০ ড্রপ্ লডেনম্ দেওয়াতে আপাততঃ প্রায় এক ঘণ্টা ভেদ বন্ধ রহিয়াছে কিন্তু একেবারে নিবৃত্ত হইয়াছে এমত বোধ