পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



নবম অধ্যায়।

বাসুদেব চরিত ও সাহিত্য-সন্ধান।

 ফোর্ট উইলিয়ম কলেজে প্রবেশ করিবার পর, বিদ্যাসাগর মহাশয় কলেজের কর্তৃপক্ষ কর্ত্তৃক সুপাঠ্য বাঙ্গালা গদ্য পাঠ্য পুস্তক প্রণয়ন করিবার জন্য অনুরুদ্ধ হন। সেই অনুরোধের বশবর্ত্তী হইয়া তিনি “বাসুদেব-চরিত” নামক একখানি গ্রন্থ রচনা করেন। “বাসুদেব-চরিত” শ্রীমদ্ভাগবতের দশম স্কন্ধ অবলম্বন করিয়া রচিত। “বাসুদেব-চরিতে” শ্রীমদ্ভাগবতের কোন কোন স্থান পরিত্যক্ত; কোন কোন স্থানের ভাবমাত্র গৃহীত এবং কোন কোন স্থান অবিকল ভাষান্তরিত। ইহা অবলম্বন বা অনুবাদ হউক; লিপি-মাধুর্য্যে ও ভাষা সৌন্দর্ঘ্যে মূল সৃষ্টিসৌন্দর্য্যের সমীপবর্ত্তী।

 “বাসুদেব-চরিত” বাঙ্গালা গদ্য গ্রন্থের আদর্শস্থল। হিন্দু সন্তানের ইহা প্রকৃত পাঠ্য। বাঙ্গালী হিন্দু পাঠকের দুর্ভাগ্য বলিতে হইবে, “বাসুদেব-চরিত” ফোর্ট উইলিয়ম্ কলেজের কর্তৃপক্ষ কর্ত্তৃক অনুমোদিত হয় নাই। যে “বাসুদেব-চরিতে” ভগবান্ শ্রীকৃষ্ণের পূর্ণব্রহ্মত্ব প্রতিপাদিত, তাহা খৃষ্টান সাহেব সিবিলিয়ন্ কর্ত্তৃক যে অননুমোদিত হইবে, তাহা আর বিচিত্র কি?

 “বাসুদেব-চরিতে” ভগবান্ শ্রীকৃষ্ণের পূর্ণ লীলা প্রকটিত; পত্রে পত্রে ছত্রে ছত্রে ভগবদাবির্ভাবের পূর্ণ প্রকটন। বিদ্যাসাগর মহাশয় অবশ্য মনে করিয়াছিলেন, ইহাতে শ্রীকৃষ্ণের ব্রহ্মত্ব