পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/২৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জীবন-চরিত।
২৩৩

প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। এক রিপোর্ট-ফলে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের চরম পদোন্নতি। সাংসারিক সুখ-শ্রবৃদ্ধির মূলাধার ইহাই। তিনি রিপোর্টে শিক্ষাপ্রণালীর পথাবলম্বন স্বরূপ যে বাঙ্গালা পাঠের উল্লেখ করিয়াছিলেন, তাহাবই অধিকাংশ স্বয়ং প্রণয়ন করবেন বলিয়া তাঁহার সংকল্প ছিল। কেবল শিক্ষা বিভাগের কর্ত্তৃপক্ষগণে অনুমোদন মাত্র অপেক্ষা ছিল। উল্লিখিত পুস্তকগুলি একে একে পরে প্রকাশিত হইছি। ইহার পূর্ব্বে তিনি কেবল পাঠ্যসঙ্কল্পে জীবন-চরিত নামক পুস্তক প্রকাশ করিয়াছিলেন।

 ১৮৪৯ খীষ্টাব্দে ১০ সেপ্টেম্বর বা ১২৫৬ সালের ২৬শে ভাদ্র সোমবার জীবন চরিত প্রকাশিত হইয়াছিল। রবার্ট ও উইলিয়ম চেম্বর্স সাহেব কর্ত্তৃক সঙ্কলিত জীবন-চরিতের কতিপয় চরিত্র লইয়া “জীবন চবিত” লিখিত। এই জীবন-চরিতে কোপর্ণিকস গালিলেও, নিউটন, হর্শল, গ্রোসিয়স, লিনীয়স, ডুবাল, জেঙ্কিস, জোন্স, এই কয়টি চরিত অনুবাদিত হইয়াছে।

 অনুবাদে কৃতিত্ব পূর্ব্ববত। তবে অনুবাদে কোন কোন শব্দের বাঙ্গালা ভাষায় অসঙ্গতি আছে, বিদ্যাসাগর মহাশয় স্বয়ং এ কথা স্বীকার করিয়াছেন; নহিলে ভাষা তেজস্বিনী ও হৃদয়গ্রাহিণী হইত না।

 জীবন চরিতে যে সকল বিজাতীয় ও বিদেশীয় চরিত্রের অব- তারণা হইয়াছে, তাহাতে শিক্ষণীয় গুণ থাকিতে পারে। ফলে কিন্তু অলক্ষ্যে ইহাতে কেমন একটা কু-শিক্ষা অসিয়া পড়ে। জীবনচরিতের বিষয়ীভুত চরিত্রপ'ঠে ধারণা জন্মে, তাঁহারা মনুষ্যের আদর্শ; সুতরাং তাঁহাদের অন্যান্য আচার, ব্যবহার, শিক্ষা, দীক্ষা প্রভৃতিও অনুকরণীয়। কাজেই সেই সকলের অনুকরণেই প্রবৃত্তি