পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/২৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বীডন-স্কুলের সম্বন্ধ।
২৪৩

এত রক্ত জন্মে যে, ডাক্তারের। তাঁহার একটা কঠোর পীড়া হইবে বলিয়া আতঙ্কিত হইয়াছিলেন। তিনি তখন ভাল করিয়া ঘাড় বাঁকাইতে পারিতেন না। কঠোর পীড়ার আশঙ্কা করিয়া ডাক্তার নীলমাধব মুখোপাধ্যায় দুই বার তাঁহার ঘাড়ের ফন্ত খুলিয়া খানিকটা রক্ত বাহির করিয়া দিয়াছিলেন। তখনকার সে তেজস্বিনী মূর্তির একখানি প্রতিকৃতি বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বাড়ীতে, এখনও দেখা যায়। সে প্রতিকৃতি দেখিলে মনে হয় যে, উন্নত-ললাট, তেজ পুঞ্জ, সুন্দর পুরুষের গণ্ডস্থলে রক্ত ফুটিয়া বাহির হইতেছে।

 প্রিন্সিপাল-পদে প্রতিষ্ঠিত হইবার কায়েক মাস পরে, বিদ্যাসাগর মহাশয়কে পৰম হিতাকাঙ্ক্ষী বন্ধু বীটন্ সাহেবের মৃত্যু জন্য দারুণ মনস্তাপ পাইতে হইয়াছিল। বীটন্ সাহেব ব্যবস্থাপক সভার সদস্য ও শিক্ষা-সমাজের সভাপতি ছিলেন স্বী-শিক্ষার বহু বিস্তার উদ্দেশে ইনি কলিকাতায় বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন।[১] বিদ্যাসাগর এতৎপক্ষে বীটন্ সাহেবের

  1. এই স্কুল অধুনা বেথুন বালিকা বিদ্যালয় বলিয়া পথিত। প্রকৃত নাম কিন্তু “বীটন”। বাঙ্গালায় বালিক- বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা এই প্রথম নহে। ৰালিকাবিদ্যালয় প্রসারের চেষ্টাও প্রথমে বীটন্ সাহেবের নহে। পূর্ব্বে “স্কুল সোসাইটী”র চেষ্টায় ১৮২০ খৃষ্টাব্দে বালিকাদের জন্য কলিকাতার নন্দবাগানে “জুবেনাইল পাঠশালা” নামে এক পাঠশালা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৪২ খৃষ্টাব্দে ফলিকাতায় পঞ্চাশটী স্ত্রী-পাঠশালা হয়। সাকুল্যে ৮০৯টী বালিকা শিক্ষা পাইত। রাধাকান্ত দেব প্রণীত বলিয়া খ্যাত স্ত্রী-শিক্ষা-বিষায়ক নামক পুন্তকে ইহার বিস্তৃত বিবরণ পাওয়া যাব। এই সকল বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য কলিকাতার “ফিমেল জুবেনাইল সোসাইটি”, মিস কুক বা মিসেস উইলশন্