পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৩০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রসন্ন কুমার।
২৬৭

বলিতেন,—'ভাল ভাল, যখন সুবিধা হ’বে, ৩খন দিস। আজ কিন্তু আমার বাড়ীতে চারিট প্রসাদ পাস্। কৃষককন্যারা তাঁহাকে আদর কবিয়া মুড়ি, নারিকেল, বাতাসা প্রভৃতি জলখাবার দিলে, তিনি আঁচলে বধিয়া লইয়া অসিতেন। ঠাকুর-মা প্রত্যহ মধ্যাহ্ণে রন্ধনাদি সমাপন করিয়া এবং আশ্রিত অতিথিদিগকে আহারাদি করাইয়া, বাড়ীর দরজার নিকট দাঁড়াইয়া থাকিতেন। ছোটোর হাট হইতে ফিরিবার সময় দরজার সম্মুখ দিয়া যাইলে, তিনি তাহাদিগকে ডাকিয়া খাওয়াইতেন। কাহারও মুখখানি শুকনো দেখিলে তিনি বলতেন,—‘আহা! আজ বুঝি তোর খাওয়া হয় নি? আয়্ আয়্, আমার বাড়ীতে খাবি আয়। ঠাকুর-মা বড় বড় মাছ ভালবাসিতেন। মাছ কুটিয়া রাঁধিয়া খাওয়াইবেন, এই তাঁর সাধ। এই জন্য ঠাকুরমা কখন কখন ঠাকুরদাদার উপর রাগ করিলে, ঠাকুরদাদা বড় বড় মাছ আনিয়া তাঁর মান ভঞ্জন করিতেন। কোন দিন যদি ঠাকুর-মা রাগ করিয়া ঘরের দরজা দিয়া শুইয়া থাকিতেন, তাহা হইলে ঠাকুরদাদা যেখান হইতেই ইউক, একটা বড় মাছ সংগ্রহ করিয়া আনিয়া ঘরের দরজার মাছটাকে আছাড় মারিয়া ফেলিয়া দিতেন। ঠাকুর-মা ঘরের ভিতর হইতে মাছ-আছড়ানির সাড়া পাইয়া তথম খিল খুলিয়া বাহিরে আসিতেন এবং হাসিতে হাসিতে আপনি মাছ কুটিতে বসিতেন।”

 যাহাকে যেরূপ সাহায্য করিলে উপকার হইত, বিদ্যাসাগর মহাশয় তাঁহার জন্য্ তাহাই করিতেন। ৺প্রসন্নকুমার সর্ব্বাধিকারী মহাশয় অনেক পাঠকেরই পরিচিত। ইনি হিন্দু স্কুল হহতে ৪০্ চল্লিশ টাকার ... পাইয়া, কলেজের শিক্ষক,