পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৩৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩১০
বিদ্যাসাগর।

 স্যার জেম্‌স্‌ কল্‌ভিন্‌ গ্রাণ্ট সাহেবের প্রস্তাবের পোষকতা করেন।

 ১২৬২ সালের ৭ই মাঘ বা ১৮৫৬ খৃষ্টাব্দের ১৯শে জানুয়ারি পাণ্ডুলিপি সিলেক্ট কমিটীর ইন্তে অর্পিত হয়।[১]

 ১২৬২ সালের ৫ই চৈত্র বা ১৮৫৬ খৃষ্টাব্দের ১৭ই মার্চ্চ আইনের বিরুদ্ধে রাজা রাধাকান্ত দেবপ্রমুখ ছত্রিশ হাজার সাত শত তেষট্টি জন লোকের স্বাক্ষরিত এক আবেদনপত্র পেশ হয়।

 ইহার পর আইনের বিরুদ্ধে নদীয়া, ত্রিবেণী, ভাটপাড়া, বাঁশবেড়িয়া, কলিকাতা, এবং অন্যান্য স্থানের বহু পণ্ডিতমণ্ডলীর স্বাক্ষরিত আবেদনপত্র পেশ হয়। ইঁহারা সকলেই বলিয়াছিলেন, বিধবা-বিবাহ শাস্ত্রসঙ্গত নহে।

 ১২৬৩ সালের ১৯শে জ্যৈষ্ঠ বা ১৮৫৬ খৃষ্টাব্দের ৩১শে মে সিলেক্ট কমিটী রিপোর্ট দাখিল করেন। ১২৬৩ সালের ৫ই শ্রাবণ বা ১৮৫৬ খৃষ্টাব্দের ১৯শে জুলাই পাণ্ডুলিপি তৃতীয়বার পঠিত হয়। ১২৬৩ সালের ১২ই শ্রাবণ বা ১৮৫৬ খৃষ্টাব্দের ২৬শে জুলাই আইন পাশ হইয়া যায়।

 এই আইনের বিরুদ্ধে ৫০।৬০ সহস্র ব্যক্তির স্বাক্ষরিত ৪০ খানির উপরও আবেদনপত্র পেশ হইয়াছিল। ইহার পক্ষে হইয়াছিল, ৫ সহস্র লোকের স্বাক্ষরিত ২৫ খানি আবেদনপত্র।

 তবুও আইন পাশ হইল। না হইবে কেন, ভারতের ভাগ্যবিধাতা বিধানকর্ত্তা রাজপুরুষেরা সিদ্ধান্ত করিয়াছিলেন, কেবল


  1. স্যার জেম্‌স্‌ কল্‌ভি‌ন্‌, মিঃ ইলিয়েট, মিঃ সি, জেহট এবং মিঃ গ্রাণ্ট সিলেক্টকমিটীর সভ্য ছিলেন।