পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৪৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দেবোত্তর সম্পত্তি।
৪২৯

যেন কোন প্রকারে হস্তান্তরিত না হয় ও চিরদিন অক্ষুণ্ন থাকে। এরূপ অভিপ্রায়ের বশবর্ত্তী হইয়া তাঁহারা উক্ত প্রকার সম্পত্তিসংক্রান্ত কতকগুলি নিয়মের নির্দ্দেশ করিয়া দেন। উক্ত সম্পত্তির ট্রষ্টিরা (অধ্যক্ষেরা) তম্নিমিত্ত ঈদৃশ সম্পত্তি কোন প্রকারেই হস্তান্তর বা বিক্রয়াদি করিতে সমর্থ হন না। যদিও এ সম্বন্ধে কোন প্রকার সুস্পষ্টবিধি হিন্দুশাস্ত্রে লক্ষিত হয় না, তথাপি হিন্দু ব্যবহার-শাস্ত্রের ঈদৃশ সম্পত্তির হস্তান্তর কোন ক্রমেই সমীচীন বলিয়া বোধ হয় না। হিন্দু ব্যবহার-শাস্ত্রের নির্দ্দেশানুসারে কোন প্রকার হস্তান্তর উক্ত সম্পত্তির মালিকের স্পষ্ট সম্মতি ব্যতীত একেবারেই অসিদ্ধ। যে দেবতার উদ্দেশে দেবোত্তর সম্পত্তির সৃষ্টি হয়, তিনিই আইনানুসারে উক্ত সম্পত্তির একমাত্র মালিক; সুতরাং দেবতার সম্মতি ব্যতীত, উক্ত সম্পত্তি হস্তান্তর বা বিক্রয়াদি আদৌ সম্ভবপর নহে। দেবতার নিকট হইতে তাদৃশ সম্মতিগ্রহণ একেবারেই অসম্ভব; সুতরাং দেবোত্তর সম্পত্তি হস্তান্তর কোন মতেই আইনসঙ্গত্ব নহে।

 ২। দেবোত্তর সম্পত্তির সুবন্দোবস্ত করিতে হইলে ট্রষ্টিদিগকে যে প্রকার সময়ে সময়ে কষ্টে পড়িতে হয়, তাহা আমি সবিশেষ অবগত আছি। এরূপ ঘটনা সংঘটিত হওয়া নিতান্ত অসম্ভব নহে যে, কখন কখন সম্পত্তির বন্দোবস্তের জন্য ট্রষ্টিদিগকে দায়গ্রস্ত হইতে হয় ও সম্পত্তির সামান্য আয় হইতে সেরূপ ঋণ পরিশোধ করা তাহাদিগের পক্ষে নিতান্তই দুরূহ হইয়া উঠে। কারণ অনেক স্থলেই দৃষ্ট হয় যে, দেবোত্তর সম্পত্তির অনুষ্ঠাতৃগণ উক্ত সম্পত্তির আয় এরূপভাবে স্বকীর ব্যয় সঙ্কুলনার্থ