পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৫৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫০২
বিদ্যাসাগর।

উচিতবাদিনঃ” নাম দিয়া এক ব্যক্তি “প্রেরিত তেঁতুল” নামে একখানি ২৫ পৃষ্ঠার ক্ষুদ্র পুস্তিকা লিখিয়াছিলেন। ইহাতে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রতি আক্রমণ ছিল। এতদ্ব্যতীত গান ছাড়াও অনেক রকম প্রকাশিত হইয়াছিল। এডুকেশন গেজেটের প্রেরিত পত্রে “কুলীন-কামিনীর উক্তি” নামে একটা পদ্য প্রকাশিত হইয়ছিল।

 বাচস্পতি মহাশয়, যেরূপ বিদ্যাসাগর মহাশয়কে আক্রমণ করিয়াছিলেন এবং বিদ্যাসাগর মহাশয় বাচস্পতি মহাশয়কে যে ভাবে আক্রমণ করিয়াছিলেন,তাহা বিজ্ঞোচিত হয় নাই। এই সূত্রে উভয়ের যে মনোমালিন্য হইয়াছিল, তাহা আর এ জন্মে বিদুরিত হয় নাই। বিদ্যাসাগর মহাশয় বিচারে ভাষাভিজ্ঞতা, তর্কনিপুণতা, মীমাংসাপটুতা, অনুসন্ধিৎসা এবং বিদ্যাবুদ্ধিমত্তার প্রকৃত পরিচয় দিয়াছেন বটে; কিন্তু বাচস্পতি মহাশয়কে আক্রমণ করিতে গিয়া ধৈর্য্যচ্যুত হইয়া পড়িয়াছিলেন। আমরা মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করিব, বিদ্যাসাগর মহাশয় এ সম্বন্ধে যে তর্কপ্রণালীর অবতারণা করিয়াছেন, বাঙ্গালায় এ পর্য্যন্ত তেমন অল্প লোকেই পারিয়াছে। কোন কোন আত্মস্পর্দ্ধী দাম্ভিক লেখক তাঁহাকে সময়ে সময়ে ‘নিজস্ব’ হীন বলিয়া, তাঁহার গৌরবহানির চেষ্টা করিয়া থাকেন এবং সময়ে সময়ে তাঁহার অনুবাদিত গ্রন্থনিচয়, সেই সব দাম্ভিক পুরুষদের রহস্যবিষয়ীভূত হইয়া থাকে। বিদ্যাসাগরের “বহু বিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না” পুস্তক প্রকাশিত হইবার পর যাঁহাদের এরূপ স্পর্দ্ধা দেখিয়াছি, তাঁহাদিগকে আমরা কৃপার পাত্র মনে করিয়া রাখিয়াছি। কেননা, সেরূপ স্পর্দ্ধা ব্যাধি বিশেষ।