পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৫৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫২০
বিদ্যাসাগর।

কি না; আর যদি থাকে, তাহা হইলে তাহার প্রতীকার করিতে পারি ত আসিব।” এই বলিয়া তিনি সঙ্গিগণকে সঙ্গে লইয়া ফিরিয়া আসেন। অতঃপর বিদ্যাসাগর মহাশয় মিউজিয়মের কর্ত্তৃপক্ষকে ইংরেজিতে যে পত্র লিখিয়াছিলেন, তাহার মর্ম্মানুবাদ এই,—

ইণ্ডিয়ান মিউজিয়মের ট্রষ্টির অনররি সেক্রেটরী শ্রীযুক্ত এইচ, এফ্,

ব্লানফোর্ড স্কোয়ার সমীপেষু—

.   মহাশয়,
 আমি গত ২৮শে জানুয়ারি এসিয়াটিক সোসাটীর লাইব্রেরী দেখিতে যাই। আমার পায় দেশী জুতা ছিল বলিয়া, কিন্তু ভিতরে প্রবেশ করিতে পাই নাই। জুতা না খুলিলে শুনিলাম, প্রবেশ নিষেধ। ইহার কারণ কিছু বুঝিতে পারিলাম না। কতকটা মনক্ষুণ্ন হইয়া আমি ফিরিয়া আসিলাম।

 দেখিলাম যে সব দর্শক চটি জুতা পায়ে দিয়াছিল, তাহাদিগকে জুতা খুলিয়া হাতে করিয়া লইয়া ফিরিতে হইতেছে। কিন্তু ইহাও দেখিলাম, কতিপয় পশ্চিমালোক দেশী জুতা পরিয়াই যাদুঘরের এদিক ওদিক ফিরিতেছে।

 আরও দেখিলাম, সম্ভবতঃ কালীঘাটের প্রসাদী পুষ্পমাল্য গলায় পরিয়া যাহারা যাদুঘরে যাইতে চাহিতেছে, তাহাদিগকেও ফুলের মালা বাহিরে রাখিয়া যাইতে হইতেছে।

 এই জুতা রহস্যের কারণ আমি কিছু বুঝিতে পারিতেছি না। যাদুঘর তো সাধারণের আরাম বিশ্রামের স্থান। এখানে এরূপ জুতাবিভ্রাট দোষাবহ। যাদুঘর যখন মাদুর মোড়া,