পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৫৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কলেজ প্রতিষ্ঠা।
৫৩১

পাছে মিশনরীদের কার্য্যে ব্যাঘাত পড়ে, এই উদ্দেশে আমার কার্য্যে ব্যাঘাত। মিশনরী উচ্চ শিক্ষার ভার লইয়া, হিন্দুসন্তানকে আয়ত্ত করিয়াছেন। আমার কলেজ হইলে, তাহাতে একটা ব্যাঘাত ঘটিবার সম্ভাবনা। তাই তাঁহারা আমার কলেজ স্থাপন-প্রস্তাবের ঘোর প্রতিবাদী।” বিদ্যাসাগর মহাশয়ের কথা শুনিয়া সাহেব বলিলেন, “আপনি অবার আবেদন করুন।” বিদ্যাসাগর মহাশয় বলেন,—“আপনি যদি আমার পক্ষ-সমর্থন করেন, তাহা হইলে আমি আবেদন করিতে পারি।” সাহেব বলেন,—“আমি একা সমর্থন করিলে কি হইবে?” বিদ্যাসাগর মহাশয় বলেন,—“তাহা হইলেই হইবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সহকারী সভ্য তো আপনার অধীন। আপনি যে পথে যাইবেন, তাঁহারাও সেই পথে যাইবেন। তাঁহাদের সকলকেই অনেক বিষয়ে আপনার উপর নির্ভর করিতে হয়।” সাহেব পক্ষ সমর্থনে রাজি হন।

 মেট্রপলিটনে কলেজ প্রতিষ্ঠিত হইলে, শিক্ষা বিভাগের এক জন উচ্চতম সাহেব কর্ম্মচারী বলিয়াছিলেন,—“এইবার উচ্চশিক্ষার সমাধি হইল।[১]

 বলা বাহুল্য, মেট্রপলিটনের এ পর্য্যন্ত শিক্ষিতের নিত্য-কীর্ত্তি কুশলতা,—এই গর্ব্বিত কর্ম্মচারীর গর্ব্বখর্ব্বকারিতার কৃপাণনিশান স্বরূপ দেদীপ্যমান রহিয়াছে।

 কলিকাতায় সুকিয়া স্ট্রীটে শ্রীযুক্ত প্যারিমোহন রায়ের বাড়ীর নিকট প্রথম কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ইতিপূর্ব্বে শঙ্কর ঘোষের


  1. এই কথাটী হাইকোর্টের প্রসিদ্ধ উকীল শ্রীযুক্ত গোপালচন্দ্র শালী মহাশয়ের মুখে শুনিয়াছি।