পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৭৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭০৮
বিদ্যাসাগর।

পরিশ্রম ও প্রায় ৮০,০০০ টাকা ব্যয় করিয়া বাচস্পত্যাভিধান নামক এক সুবৃহৎ অভিধান প্রণয়ন করেন; তদ্ব্যতীত শব্দস্তোম মহানিধি, আশুবোধ ব্যকরণ, শব্দার্থরত্ন, বহুবিবাহবাদ প্রভৃতি বহুবিধ গ্রন্থ এবং বেণীসংহার, কাদম্বরী, মালবিকাগ্নিমিত্র, মুদ্রারাক্ষস প্রভৃতি সংস্কৃত গ্রন্থের টীকা রচনা করেন। ইনি স্ত্রীশিক্ষার পক্ষপাতী ছিলেন এবং বিধবা বিবাহ প্রচলন বিষয়ে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সহায় ছিলেন, বহুবিবাহ সম্বন্ধে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সহিত তাঁহার মতান্তর হওয়ায় তিনি ‘লাঠি থাকিলে পড়ে না' নামক একখানি ক্ষুদ্র গ্রন্থ রচনা করিয়া বছৰিবাহ প্রথার পক্ষ সমর্থন করেন। ১৮৬১ খৃষ্টাব্দে ‘গয়া-মাহাত্মা’ ও ‘গয়া শ্রাদ্ধাদি পদ্ধতি’ নামক পুস্তক রচনা করিয়া তাহার তিন সহস্র খণ্ড বিনামূল্যে বিতরণ করিয়াছিলেন। ১৮৮৫ খৃষ্টাব্দে ৺কাশীধামে ইহার পরলোক প্রাপ্তি হয়। ইঁহার পুত্র শ্রীযুক্ত জীবানন্দ বিদ্যাসাগর বি, এ সংস্কৃত ভাষায় রচিত কাব্য নাটকাদি প্রকাশ করিয়া সংস্কৃঙ শিক্ষার পক্ষে অনেক সুবিধা করিয়াছেন।

কার্ত্তিকেয়চন্দ্র রায় (দেওয়ান)।

 প্রসিদ্ধ “ক্ষিতীশ বংশাবলী চরিত” প্রণেতা। ১২২৭ সালের কার্ত্তিক মাসে ইনি জন্মগ্রহণ করেন। ইহার পিতার নাম উমাকান্ত রায়। ইহাদের বংশ কৃষ্ণনগর রাজসংসারের দেওয়ান চক্রবর্ত্তী বলিয়া বিখ্যাত। পঞ্চম বৎসর বয়সে পিতার নিকট ইঁহার বিদ্যাশিক্ষা আরম্ভ হয়। পরে অষ্টমবর্ষ বয়সে পার্শী শিখিতে