পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৭৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জীবন-কথা।
৭১৭

নির্দ্দোযিতা প্রমাণ হয় এবং দও রহিত হয়। ১৯০৯ খৃষ্টাব্দে মে মাসে ইনি কলিকাতার সংবাদপত্রের অন্ততম প্রতিনিধি স্বরূপে Press Conference নামক সমিতিতে নিমন্ত্রিত হইয়া, ইংলণ্ডে গমন করেন। গত ৩০ বৎসর ধরিয়া সুরেন্দ্রনাথ অবিশ্রান্তভাবে সাধারণ হিতকর কার্য্যে আত্মসমর্পণ করিয়াছেন। এমন কোন রাষ্ট্রনীতি, বিষয়ক সভা সমিতি নাই, এমন কোন সাধারণের আলোচ্য বিষয় নাই, যাহার সহিত স্বরেন্দ্রনাথ সংশ্লিষ্ট নহেন। ইঁহার বক্তৃতা শক্তি অসাধারণ! বক্তৃতা করিয়া লোক মাতাইবার ক্ষমতা ইঁহার অসীম এবং কি বক্তৃতায়, কি সংবাদ পত্রে লিখিত মন্তব্যে ইঁহারে তেজস্বিতা ও নির্ভীকতা ছত্রে ছত্রে দৃষ্ট হইয়া থাকে। বর্তমান সময়ে ভারতে যে সকল মনীষী রাষ্ট্রনীতিক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠাবান, সুরেন্দ্রনাথ তাঁহাদের মধ্যে অতি উচ্চস্থান অধিকার করিয়াছেন। কার্য্যই ইঁহার মূলমন্ত্র। ইহার ন্যায় কার্য্যময় জীবন অধুনা অতি অল্পই দৃষ্ট হইয়া থাকে।

নবীনচন্দ্র সেন।

 ১২৫৬ সালের ২৯শে মাঘ চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানার অন্তর্গত নয়াপাড়া গ্রামে ইঁহার জন্ম হয়। ইহার পিতা গোপীমোহন সেন মুন্সেফ ছিলেন। নবীন চট্টগ্রামের পাঠশালায় পাঠ সাঙ্গ করিয়া স্কুলে প্রবেশ করেন। মাতার অত্যধিক প্রশ্রয় পাইয়া ইনি বাল্যকাল হইতেই অত্যন্ত উচ্ছৃঙ্খল হইয়া পড়িয়ছিলেন। স্কুলে নবীনচন্দ্র শাসনের অতীত হইয়াছিলেন। স্কুলেই