পাতা:বিদ্যাসাগর জীবনচরিত - শম্ভুচন্দ্র বিদ্যারত্ন.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪
বিদ্যাসাগর-জীবনচরিত।

করিতে আসিতেন; তন্মধ্যে পটলডাঙ্গাস্থ গবর্ণমেণ্ট সংস্কৃত-কলেজের ব্যাকরণের ৩য় শ্রেণীর পণ্ডিত গঙ্গাধর তর্কবাগীশ মহাশয়ের সহিত পিতৃদেবের আলাপ ছিল। তাঁহাকে পরামর্শ জিজ্ঞাসায় তিনি উপদেশ দিলেন যে, কলেজে প্রবিষ্ট করিয়া দিলে ৫/৬ মাস পরে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইলে, আপাততঃ মাসে মাসে ৫৲ টাকা বৃত্তি পাইবে, দেশের টোলে পড়িতে দিলে সংক্ষিপ্তসার অধ্যয়ন করিতে দীর্ঘকাল লাগিবে। কলেজে মুগ্ধবোধ ব্যাকরণ অধ্যয়ন করিয়া, তিন বৎসরের মধ্যে ব্যাকরণে বুৎপত্তি জন্মিলে, কাব্যের শ্রেণীতে প্রবিষ্ট হইতে পরিবে। দ্বিতীয়তঃ তৎকালে পাতুলগ্রামনিবাসী রাধামোহন বিদ্যাভূষণের পিতৃব্যপুত্র মধুসূদন বাচস্পতি, সংস্কৃত-কলেজে অধ্যয়ন করিতেন এবং বৃত্তি পাইতেন। পিতৃদেব উক্ত বাচস্পতিকে পরামর্শ জিজ্ঞাসা করিলে, তিনিও পরামর্শ দেন যে, ঈশ্বরকে সংস্কৃত-কলেজে ভর্ত্তি করিয়া দাও। পিতৃদেব তাঁহাদের উপদেশের অনুবর্ত্তী হইয়া, দাদাকে ইংরাজী বিদ্যালয়ে নিযুক্ত না করিয়া, সংস্কৃত-কলেজেই প্রবেশ করাইয়া দেওয়া সর্ব্ব‌তোভাবে শ্রেয়োজ্ঞান করিলেন।