পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

বিপ্লবের আহ্বান

 পরোপকারী, সত্যাশ্রয়ী, ও মেধাবী কানাইলাল প্রথম জীবনে এইটুকু বুঝেছিলেন যে দেশের ও দশের সেবা করতে হবে। এই সেবার মধ্যে স্বাধীনতার স্পৃহা একেবারে ছিল না। বলা যায় না, তবে গুপ্ত-সমিতির গঠনের চিন্তা বোধ হয় ছিল না। স্বাধীনতা বলতে বিদেশী দ্রব্য বর্জন, স্বদেশী জিনিষের প্রতি লোকের আগ্রহ বাড়ানো, আর্তের সেবা করা, সভাসমিতি করা, প্রয়োজন হলে ধর্মঘট ও সাহায্য ভাণ্ডার খোলা—এইভাবে লোকের মনে স্বাদেশিকতা জাগিয়ে তোলাই ছিল কানাইলালের মত তরুণদের মুখ্য উদ্দেশ্য। সেই অবস্থায় কানাইলাল কেন যে গুপ্ত-সমিতিতে বারীন্দ্রের বোমার কারখানায় এসে যোগ দিলেন, সেটা একটু বিশ্লেষণ করে দেখা দরকার।

 আগেই বলা হয়েছে বাংলার অগ্নিযুগের উদ্যোক্তা অরবিন্দ ও বারীন্দ্র। অরবিন্দ থাকেন সবার পশ্চাতে, অনেকটা অন্তরালে আর বারীন্দ্র তরুণদের প্রত্যক্ষ নেতা। এক কথায় বারীন্দ্রের নেতৃত্বেই বিভিন্ন স্থানে গুপ্ত সমিতি গঠিত হয়। দেখা যায় বাংলার প্রতি জেলায় প্রায় দশ বারো জন যুবক প্রাণ বিসর্জন দিতে প্রস্তুত হয়ে উঠেছে। এই ঢেউয়ের দোলা এসে পৌঁছয় চন্দননগরেও। বিপ্লবী উপেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়

২৫