পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

মশাই তখন চন্দন-নগরে শিক্ষকতা করছেন। তিনি ছাত্রদের বেত মেরে এই শিক্ষা দিতেন যে এই দেশটা ইংরেজের নয়—কারণ, ইংরেজের ক্ষমতা নেই তাঁর বেত মারা বন্ধ করে। এই উপেন্দ্রনাথ যখন বারীন্দ্রের কর্মকেন্দ্রের সংবাদ পেলেন, এবং আরও জানলেন যে বাংলার সকল জেলাতেই এই কেন্দ্রের স্পন্দন শাখায়িত হয়ে উঠেছে, তখন তিনি চন্দননগর ছেড়ে কোলকাতায় গিয়ে হাজির হলেন এবং বারীন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করলেন।

 বারীন্দ্রের সমিতি গুপ্ত-সমিতি। কাজেই প্রকাশ্য ভাবে তার কোন প্রচার ব্যবস্থা ছিল না। তবু, কয়েকটা ঘটনা এমনই ঘটে যার ফলে সাধারণ লোকে ধারণা করে নেয় যে এরকম একটা গুপ্ত-সমিতির প্রয়োজন আছে, বা ইতি পূর্বেই গঠিত হয়েছে। লর্ড কার্জনের বঙ্গ-ভঙ্গের চেষ্টা এবং ছোটলাট ফুলারের অত্যাচার কাহিনী লোককে স্বাদেশীকতায় উদ্বুদ্ধ করে তুলেছিল। আগেই বলেছি তখনকার জাতীয়তাবাদ ধর্মনিরেপক্ষ নয়। অরবিন্দ—ভবানী মন্দিরের উপাসক অরবিন্দ— এক হাতে তরবারী আর অন্য হাতে গীতা নিয়ে সংগ্রামে নেমেছেন। বলাবাহুল্য, এই সকল বিপ্লবীদের মধ্যে সকলেই ছিলেন হিন্দু। এবং ঢাকার নবাব সলিমুল্লার হিন্দুবিদ্বেষ প্রচার—ময়মনসিংহ, কুমিল্লা প্রভৃতি জায়গায় হিন্দুদের ওপর মুসলমানদের অকথ্য অত্যাচার, জামালপুরে মুসলমান জনতা কর্তৃক হিন্দুদের বাসন্তী প্রতিমা ভঙ্গ ও নারী ধর্ষণ

২৬