পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

লোকের কাণে সহজে ঢুকত; এমন কি, অনেক হোমরা-চোমরা মডারেটও বিপ্লবের খেয়ালে সই দিতেন।

 ‘এই সকল কারণে দেশের অনেক লোকের জাতক্রোধটা ফুলার সাহেবের ওপর ঘনিয়ে উঠেছিল। ফুলার সাহেবকে কেউ বধ করেছে, ঘরের দরজা ভেজিয়ে আরাম-খুরসিতে বসে এই খোস খবরটা শোনবার জন্যে তখন অনেক গণ্যমান্য লোক ক্কায়মনোবাক্যে প্রত্যাশা করছিলেন। এমন কি, ঘাতককে দু’পাঁচ হাজার বকসিস্ দেয়ার অঙ্গীকারও দু’চারজন ক’রে ফেলেছিলেন।

 ‘আমাদের বারীণ এ সুযোগ ছাড়বার পাত্রই ছিল না। কে একজন বারীণের হাতে নগদ ১ হাজার বায়নাস্বরূপ অগ্রিম দিয়ে ফেলেছিলেন।...

 ‘এক হাজার টাকা পেয়ে দুটো তথাকথিত বোমা আর দুটো রিভলভার নিয়ে বারীণ Reconoiter (অর্থাৎ বধ্যকে আক্রমণের স্থান ও সুযোগাদি অনুসন্ধান) করবার জন্য ফুলার লাটের গ্রীষ্মাবাস শিলংএ যাত্রা করল। বন্দোবস্ত করে গেল, সেখান থেকে টেলিগ্রাম করলে কলকাতা থেকে একজন হত্যাকারী পাঠানো হবে।

 ‘হত্যাকারী হিসাবে প্রথমে মেদিনীপুরের একজনের নাম ঠিক করা হয়। পরে কি কারণে যেন তিনি যেতে পারেন না। তারপর ক্ষুদিরামের নাম ওঠে, কিন্তু পরে তার নামও বাদ দেওয়া হয়। সব শেষে মেদিনীপুরে আর একজনকে পাঠানো

৩৯