পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সঙ্গে নিয়ে সেখানে উপস্থিত হলেন। তিনি এদের থামতে বললেন এবং প্রতিশ্রুতি দিলেন যে, পরে এর ব্যবস্থা হবে। সত্যনিষ্ঠ কানাইলাল, দেশহিতে-উৎসর্গীকৃত-প্রাণ কানাইলালের কথায় কেউ অবিশ্বাস করতে পারলে না। ক্ষুণ্ণমনে সকলেই সভা ত্যাগ করলে। অবশ্য সত্যিই প্রতিশোধের ব্যবস্থা পরে হয়েছিল। ১৯০৮ খৃষ্টাব্দে মার্চ মাসে তার্দিভিলের শয়নকক্ষে বোমা নিক্ষিপ্ত হল। হেমচন্দ্র কানুনগো যিনি সদ্য সদ্য ইউরোপ থেকে বোমা ইত্যাদি তৈরী করার কৌশল গোপনে শিখে এসেছেন তিনি নিজে লিখেছেন যে এই বোমা তৈরী করবার ফরমাস দিয়েছিলেন বারীন্দ্র তাঁর ওপরেই। হেমচন্দ্রের নিজের কিন্তু তার্দিভিল হত্যা ব্যাপারে বিশেষ সমর্থন ছিল না। তাঁর ইচ্ছা ছিল এখন ঐ সব ইতস্তত হত্যাকাণ্ড না করে একটা বাড়ীতে আড্ডা করে সেখানে কয়েকজন যুবককে আগে বোমা-বন্দুক ইত্যাদি তৈরী করা শিখানোর ব্যবস্থা করা। শেখা হলে তারপর সুপরিকল্পিত উপায়ে, বিরাট ব্যাপকভাবে কাজ আরম্ভ করা উচিত।

 কিছুদিনের মধ্যেই অবশ্য বোমার স্কুল ও কারখানা খোলা হল। অনেক চেষ্টার পর ভবানীপুর অঞ্চলে একটা সুবিধামত বাড়ী পাওয়া গেল। চার পাঁচজন ছাত্র জুটেছিল প্রথমে। তাদের মধ্যে অন্যতম কানাইলাল। হেমচন্দ্র লিখছেন—‘তার সঙ্গে এইখানে প্রথম আলাপ হয়। মুখে কথা ছিল না বললেই হয়, কিন্তু খুব বুদ্ধিমান অথচ ম্যালেরিয়া

৫২