পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

গবেষণা! পথে-ঘাটে সর্বত্র এক যুবক যদি আর এক যুবকের সঙ্গে গোপনে কিছু কথা বলে তা হলেই লোকেদের চোখে সন্দেহ ঘনায়—কোন মতলব হচ্ছে নাকি? কানাইলালের দলেও প্রশ্ন উঠল। কানাইলালের দিকে মতিলাল একদৃষ্টে তাকিয়ে—! কানাইলাল বললেন, কি দেখছো? মতিলাল বললেন, এ সব কি? এ যে স্বপ্ন! কানাইলাল হঠাৎ উচ্চরবে হেসে উঠলেন। বললেন, এমন স্বপ্ন এখন হতে নিত্য দেখবে! বেশি কথা বলবার পাত্র নন কানাইলাল। কিন্তু যারা বোঝবার তারা বোঝে। চন্দননগরে ঢেউ এল বলে!

 ১৯০৭ খৃষ্টাব্দের শেষাশেষি চন্দননগরে হাটখোলা নামে এক জায়গায় এক স্বদেশী সভার আয়োজন করা হয়। শ্যামসুন্দর চক্রবর্তী সে সভায় অতিথি হিসাবে এসেছেন। ফরাসী সরকার নির্দেশ দিলেন সভা নিষিদ্ধ। সভা শুরু হয়েছে, অসংখ্য লোক এসে জড় হয়েছে, এমন সময় তখনকার মেয়র মঁসিয়ে তার্দিভিলের অধিনায়কত্বে বিশ-পঁচিশজন বন্দুকধারী মাদ্রাজী পুলিশ সভাস্থান ঘিরে দাঁড়াল। ফলে সভার কাজ বন্ধ রাখতে হল। কিন্তু যুবকদের মন তখন চঞ্চল হয়ে উঠেছে। একটা ভাঙ্গা বাড়ীতে সভা বসল। সভায় স্থির হল সাহেবের বাড়ী আক্রমণ করতে হবে। শতাধিক যুবক এই সভায় উপস্থিত ছিল। তারা লাঠি, সড়কি, খাঁড়া বন্দুক সংগ্রহ করবার জন্যে মেতে উঠল। পরিস্থিতি জটিল হয়ে আসছে—এমন সময় কানাইলাল কয়েকজন সহচরকে

৫১