পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 ‘জানা গেছল, মিঃ কিংসফোর্ড মিসেস মস্কের গ্রাণ্ড হোটেলে থাকতেন এবং সাড়ে ন’টার পর নিজের অফিস-যানে কোর্টে যেতেন। গাড়ীতে ওঠবার সময় ঐ বইখানা একদিন তাঁর হাতে দিতে গিয়ে জেনেছিল তিনি তার ঠিক আগের দিন টালিগঞ্জের বাড়ীতে উঠে গেছেন। তারপর টালীগঞ্জের বাড়ী খোজ করে—আর একদিন সন্ধ্যেবেলা সেটা তার হাতে দিয়ে এল। কিন্তু তাঁর এমনই জোর বরাত, বইখানা না খুলেই আলমারীতে রেখে দিয়েছিলেন। বড়ই আশ্চর্যের বিষয়, উক্ত লেফাফাখানিতে কি চিঠি ছিল তা পড়বার প্রবৃত্তি তাঁর হয় নি।

 ‘পরে আমরা যখন আলিপুর জেলে বিচারাধীন, তখন নরেন গোঁসাইর হত্যার পরে আমাদের মধ্যে নেতৃস্থানীয় একজন পুলিসকে ঐ সংবাদ দিলে, মুজফরপুরে উক্ত মিঃ কিংসফোর্ডের বইয়ের আলমারী হতে বোমা সমেত ঐ বইখানি উদ্ধার করা হয়েছিল। এ সম্বন্ধে রাউলাট কমিশন রিপোর্টে যা লিখিত আছে তা নীচে উদ্ধত হল।

 ‘ভাবার্থ:—কিংসফোর্ডকে যখন মারবার মতলব করা হয়েছিল, তার দশদিন আগেই পুলিস খবর পায়। পর বছর কোন বিখ্যাত বিপ্লবপন্থী জেলখানায় থাকতে থাকতে বলে যে উক্ত দুর্ঘটনার পূর্বে কিংসফোর্ডকে একটা বইয়ের মধ্যে বোমা পাঠান হয়েছিল। অনুসন্ধানে দেখা গেল যে, কিংসফোর্ড

৫৫