পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নিয়ে কয়লাঘাটে একখানা নৌকা পৃথকভাবে ভাড়া করে, শিবপুর এঞ্জিনিয়ারিং কলেজে তার বাবার ল্যাবরেটারীতে পাড়ি দেবে। উক্ত বাক্সগুলোর দুটোতে এমন অনেক যন্ত্রপাতি ও মাল-মসলা ছিল, যা যে কোন ল্যাবরেটারীতে থাকলে সন্দেহের কোন কারণ হত না। সেই বাক্সদুটো ছাড়া আর সব গঙ্গায় ডুবিয়ে দেবার কথা ছিল।

 ‘কার্যতঃ কিন্তু তা হল না। বারীণের নির্ভীকতা অন্য সকলের মধ্যেও একটু আধটু সংক্রামিত হয়েছিল। কাযেই গোপীমোহন দত্ত লেনের বাড়ীতে অনেক কিছু পড়ে রইল। চার পাঁচটা বাক্স দিনের বেলা ঘোড়ার গাড়ী করে হ্যারিসন রোডে উল্লাসের এক নিরীহ আত্মীয় কবিরাজের বাড়ীতে রাস্তার ধারে, বসবার ঘরে খাটের তলায় রেখে গেল। পুলিসও সঙ্গে সঙ্গে এসে সেই দিন থেকে সেখানে গুপ্ত পাহারায় নিযুক্ত রইল।’

 এদিকে সাতদিন হয়ে গেল মজফরপুর থেকে কোন সাঙ্কেতিক খবর এল না। ২৯ শে এপ্রিল অরবিন্দ বন্দেমাতরম্ পত্রিকায় খোলাখুলি ভাবে একটা প্রবন্ধ লিখে বসলেন। তিনি লিখেছিলেন,—“The fair hope of an orderly evolution of self-government which the first energy of the new movement had fostered is gone for ever. Revolution bare and grim is preparing her battle field moving down the

৫৮