পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 আবার নরেন গোসা সম্পর্কেই অরবিন্দ লিখছেন— ‘গোঁসাই অতিশয় সুপুরুষ, লম্বা, ফরসা, বলিষ্ঠ, পুষ্টকায়, কিন্তু তাহার চোখের ভাব কুবৃত্তি-প্রকাশক ছিল, কথায়ও বুদ্ধিমত্তার লক্ষণ পাই নাই। এ বিষয়ে অন্য যুবকদের সঙ্গে তাহার বিশেষ প্রভেদ ছিল; তাঁহাদের মুখে প্রায়ই উচ্চ ও পবিত্র ভাব অধিক এবং কথায় প্রখর বুদ্ধি, জ্ঞানলিপ্সা ও মহৎ স্বার্থহীন আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ পাইত। গোঁসায়ের কথা নির্বোধ ও লঘুচেতা লোকের কথার ন্যায় হইলেও তেজ ও সাহসপূর্ণ ছিল।····এইরূপ লোকই Approver হয়।’

 নরেন গোসাইঁর হত্যাবিবরণ লেখবার আগে আর একটা কথা বলা দরকার। ইতিমধ্যে জেলে থাকতে থাকতে বারীন্দ্র জেল ভেঙ্গে পালাবার এক দুঃসাহসিক পরিকল্পনা করেন। তার জন্য ১৫।২০টা রিভলভার যোগাড় করবার চেষ্টা হচ্ছিল এবং অনেকে পালাতে গেলে দৌড়তে হবে জেনে কারা প্রাচীরের মধ্যেই দৌড় অভ্যাস শুরু করে দিলে। তখনকার দিনে জেলের মধ্যে রিভলভার আনার খুব বেশি অসুবিধে ছিল না। এখনকার দিনের মত নিয়মকানুনের কড়াকড়ি তখন অত হয় নি। যাই হোক একটা সেকেলে মরচে-ধরা বড় রিভলভার যোগাড় হয়ে গেল। হেমচন্দ্র স্পষ্টই লিখছেন— ‘সত্যেন এই সকল বন্দোবস্তের কথা শুনে জেলের মধ্যে আমাদের কাছে প্রথম রিভলভারটা এলেই তা চুরি ক’রে অন্য কাউকে কিছু না জানিয়ে, নিজেই নরেনকে মারবে বলে

৭৭