পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

স্থির করে ফেললে। কারণ, সে জানত, আমাদের কর্তারা টের পেলে নিশ্চয় বাধা দেবেন।’

 কাশরোগী সত্যেন্দ্র হাঁসপাতালে থাকতেন এ কথা আগেই বলেছি। কিছুদিন ধরে সত্যেন্দ্র এমন ভাব দেখাতে লাগলেন যে তিনিও নরেন গোসাইঁর মত রাজসাক্ষী হবেন। ফলে সত্যেন্দ্রের সঙ্গে নরেন গোঁসাইর যোগাযোগ খুবই বেড়ে গেল। নরেন গোসাইঁ প্রায় রোজই হাসপাতালে এসে দেখা করত সত্যেন্দ্রের সঙ্গে। রোজ রোজ পুলিসের কাছে এজাহার দিতে অসুবিধে হয় বলে সত্যেন্দ্র সমস্ত এজাহার লিখে একসঙ্গে দাখিল করতে চেয়েছিলেন পুলিসের কাছে। পুলিস রাজী হয়েছিল। যাতে এজাহার গোলমাল না হয় তার জন্য নরেন গোসাইঁ রোজ এসে সত্যেন্দ্রকে সামনে বসে লেখাত। সত্যেন্দ্র লিখতেন, যে দিন কোর্ট থাকত সেদিন সকালে আর অন্য দিন বিকেলে লেখা চলত।

 দেবব্রতবাবু যতীন্দ্রনাথ, ইন্দ্রনাথ প্রমুখ আটজনের মোকর্দমা তখনও বার্লির কোর্টে চলছিল। ১লা সেপ্টেম্বর তাঁদের সম্বন্ধে বলবার কথা। সত্যেন্দ্র জানতেন এই দিন নরেন গোসাইঁ অনেক নতুন কথা বলবে, অনেক নতুন নামের উল্লেখ করবে। প্রায় বিশজন নতুন লোকের ধরা পড়বার সম্ভাবনা ছিল। কাজেই সত্যেন্দ্র ঠিক করলেন ১লা সেপ্টেম্বর সোমবার সকালেই গোসাইঁকে শেষ করতে হবে। আগের দিন বিকেল ৫ টার সময় সত্যেন্দ্র তাঁর পুরণো রিভলভারটা আর একজন বন্দীর

৭৮