পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ধরে টানাটানি করাতে আওয়াজ হয়ে তার হাতের কব্জি ভেঙ্গে যায়, কাযেই রিভলবার ছেড়ে দেয়। ইত্যবসরে গোঁসাই ঘর থেকে বেরিয়ে পড়তেই কানাই গুলী চালায়। কানাই দাঁত মাজার ভান করে ডিসপেনসারির পাশে সিঁড়ির সামনে পায়চারী করছিল। যাই হোক, গুলী সামান্য ভাবে পায়ের কোন স্থানে লেগেছিল। তাই সিঁড়ি নেবে হাঁসপাতালের ফটক পার হয়ে— দুপাশে দেয়াল, এমন একটা লম্বা সরু গলির ভেতর গিয়ে পড়েছিল। কানাইও পেছনে তাড়া করেছিল।

 ‘সত্যেন ডিসপেনসালি থেকে বেরিয়ে সামনে একজন কয়েদীকে দেখে তাকে জিজ্ঞেস করেছিল নরেন কোথায় গেল! আঙ্গুল দিয়ে ইসারায় সে দেখিয়ে দিলে সত্যেন ছুটে গিয়ে কানাইর সঙ্গে যোগ দেয়: দুজনেই গুলী চালাতে থাকে। সত্যেনের একটা গুলীতে কানাইর গায়ের চামড়া ছোলা হয়ে গেছল; এ থেকে বোঝা যায় সত্যেন যখন সেখানে যায়, তখনও নরেন জমী ধরে নি। নরেন নাকি দু’একবার পড়ে গিয়ে উঠে দাঁড়িয়েছিল। সে খুব বলিষ্ঠ জোয়ান ছিল।

 ‘তারপর যথারীতি পাগলা ঘণ্টি, ভোম্বা, কর্মচারীদের হুটোপুটি, দৌড়াদৌড়ি, সত্যেন ও কানাইকে গ্রেপ্তার, সব ওয়ার্ডে তালা বন্ধ, খানাতল্লাসী ইত্যাদি যথারীতি সবই হয়েছিল।

 উপেন্দ্রনাথ লিখেছেন,—‘সকালবেলা বিছানা হইতে উঠিয়া আমরা মুখ-হাত ধুইতেছি, এমন সময় হাসপাতালের দিক

৮০