পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(হেমচন্দ্র কানুনগে!?) কাছ থেকে বদলে তাঁর ভাল রিভলভারটা নিয়ে আসলেন। সত্যেন্দ্র নিজ হাতে এই বদলাবদলির কাজ করেন নি। মধ্যস্থতা করলেন কানাইলাল। হেমচন্দ্র এমনভাবে নেকড়া জড়িয়ে পাঠিয়েছিলেন যে কানাইলাল বুঝতে পারেননি, কিন্তু সত্যেন্দ্রর কাছ থেকে বড় রিভলভারটা পেয়ে ব্যাপারটা আন্দাজ করতে পারেন এবং সত্যেন্দ্রর সঙ্গে সহযোগিতা করতে চান। ঠিক হয়, আগে সত্যেন্দ্র মারবেন, তাঁর চেষ্টা ব্যর্থ হলে কানাইলাল মারবেন। কানাইলাল স্বেচ্ছায় সহযোগিতা করতে আসায় ভালই হয়েছিল। তা নাহলে নরেন গোঁঁসাই অব্যাহতি পেয়ে যেত সে যাত্রায়!

 পরের দিন আসল ব্যাপারটা যা ঘটেছিল সেই সম্বন্ধে হেমচন্দ্র বিশদভাবে লিখেছেন—‘পরদিন ১লা সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে নরেন অন্য দিনের মত তার শরীররক্ষক দুজন য়ুরেশিয়ান কয়েদী ওয়ার্ডার সঙ্গে করে হাসপাতালের দোতলার ওপর সিঁড়ির পাশে ডিসপেনসারিতে গিয়ে সত্যেনের সামনে বসেছিল। রিভলভারটা সহজে কেউ কেড়ে নিতে না পারে, সে জন্য না কি সত্যেনের কোমরে দড়ি দিয়ে সেটা বাঁধা ছিল। সত্যেন জামার ভেতর থেকেই না কি নরেনকে তাক করে মারে। খট্ করে শব্দ হল, কিন্তু কার্তু স আগুন দিলে না। সত্যেন পরমুহূর্তে জামার ভেতর থেকে রিভলবার বের করে আবার নরেনকে তাক করে। তখন হিগেন বোথাম নামক পূর্বোক্ত একজন যুরেশিয়ান কয়েদী ওয়ার্ডার রিভলবারটা

৭৯