পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৯).pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नJेन S qôt থেচ্ছামত ফলনিস্পত্তি করেন, তবে কি প্রকারে ফলবিধান করিতে পারেন ? যদি সুবিচার করিয়া ফল বিধান না করেন, তবে আত্মোপকারের জন্য করাই সম্ভব। তাহা হইলে তিনি HDSBBSBY BDB BBB BDBDD DDBBBS BBED D DBDD DDBS DD DBDBD D হইয়া কৰ্ম্মানুযায়ীই ফলনিস্পত্তি করেন, তবে কেন কৰ্ম্মকেই ফলবিধাতা বল না ? ফলনিষ্পত্তির জন্য আবার কৰ্ম্মের উপর ঈশ্বরানুমানের প্রয়োজন কি ? অতএব সাংখ্যকার দ্বিতীয় শ্রেণীর ঘোরতর নাস্তিক। অথচ তিনি বেদ মানেন । ঈশ্বর না মানিয়াও কেন বেদ মানেন, তাহা আমরা পরপরিচ্ছেদে দেখাইব । , সাংখ্যের এই নিরীশ্বরতা বৌদ্ধধৰ্ম্মের পূর্বসূচনা বলিয়া বোধ হয়। ঈশ্বরতত্ত্ব সম্বন্ধে সাংখ্যদর্শনের একটি কথা বাকি রহিল। পূর্বেই বলিয়াছি, অনেকে বলেন, কাপিল দর্শন নিরীশ্বর নহে। এ কথা বলিবার কিছু একটু কারণ আছে। তৃ, অ, {৭ সূত্রে সূত্রকার বলেন, “ঈদৃশ্যেশ্বরসিদ্ধি: সিদ্ধা।” সে কি প্রকার ঈশ্বর ? “স হি সৰ্ব্ববিৎ সৰ্ব্বকৰ্ত্তা,” ৩, ৫৬ । তবে সাংখ্য নিরীশ্বর হইল কই ? বাস্তবিক এ কথা ঈশ্বর সম্বন্ধে উক্ত হয় নাই। সাংখ্যকার বলেন, জ্ঞানেই মুক্তি, আর কিছুতেই মুক্তি নাই। পুণ্যে, অথবা সত্ত্ববিশাল উৰ্দ্ধলোকেও মুক্তি নাই ; কেন না, তথা হইতে পুনর্জন্ম আছে, এবং জরামরণাদি দুঃখ আছে। শেষ এমনও বলেন যে, জগৎকারণে লয় প্রাপ্ত হইলেও মুক্তি নাই ; কেন না, তাহা হইতে জলমগ্নের পুনরুত্থানের গৃষ্ঠায় পুনরুত্থান আছে (৩,৫৪)। সেই লয়প্রাপ্ত আত্মা সম্বন্ধে তিনি বলিয়াছেন যে, তিনি “সৰ্ব্ববিৎ এবং সৰ্ব্বকৰ্ত্তা।” ইহাকে যদি ঈশ্বর বলিতে চাও, তবে ঈদৃশ্যেশ্বর সিদ্ধ। কিন্তু ইনি জগৎস্রষ্টা বা বিধাতা নহেন। “সৰ্ব্বকৰ্ত্তা” অর্থে সৰ্ব্বশক্তিমান, সর্বসৃষ্টিকারক নহে । - পঞ্চম পরিচ্ছেদ বেদ আমরা পূর্বে বলিয়াছি, সাংখ্যপ্রবচনকার ঈশ্বর মানেন না, বেদ মানেন। বোধ *য়, পৃথিবীতে আর কোন দর্শন বা অন্য শাস্ত্ৰ নাই, যাহাতে ধৰ্ম্মপুস্তকের প্রামাণ্য স্বীকার *রে অথচ ধৰ্ম্মপুস্তকের বিষয়ীভূত এবং প্রণেতা জগদীশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার করে না। এই বেদাভক্তি ভারতবর্ষে অতিশয় বিস্ময়কর পদার্থ। আমরা এ বিষয়টি কিঞ্চিৎ সবিস্তারে লিখিতে ইচ্ছা করি।