-নমস্কার। ভালো আছেন ? -একরকম চলে যাচ্ছে। আপনার সঙ্গেই দেখা করতে আসা । -কেন বলুন ? -আমার তো আর ওখানে চলে না। পৌনে সাত টাকা মাইনেতে একেবারে অচল হলো । চালের মণ হয়েচে দশ টাকা । গঙ্গাচরণের বুকটার মধ্যে ধ্বক করে উঠলো। অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে দুৰ্গা পণ্ডিতের দিকে চেয়ে সে বললে-কোথায় শুনলেন ? --আপনি জেনে আসুন রাধিকাপুরের বাজারে। - সেদিন ছিল চার টাকা, হলো ছ’টাকা, এখন দশ টাকা । --মিথ্যে কথা বলি নি। খোজ নিয়ে দেখুন। -মণে চার টাকা চড়ে গেল ! বলেন কি ? --তার চেয়েও একটি কথা যা শোনলাম, তা আরও ভয়ানক । চাল নাকি এইবার না। কিনলে এরপরে বাজারে আর মিলবে না। শুনে তো পেটের মধ্যি হােত পা ঢুকে গেল মশাই। গঙ্গাচরণের সঙ্গে সঙ্গে দুৰ্গা পণ্ডিত ওর বাড়ী পর্যন্ত এল। গঙ্গাচরণের বাইরের ঘর নেই, উঠোনের ঘাসের ওপরে মাদুর পেতে দুৰ্গা পণ্ডিতের বসবার জায়গা করে দিলে । তোমাক সেজে হাতে দিলে । বললে-ডাব কেটে দেবো ? খাবেন ? -হ্যা, সে তো আপনার হাতের মুঠোর মধ্যে। বেশ আছেন। -আর কিছু খাবেন ? -नां नt, थांक । बश्न अioनि । একথা ওকথা হয়, দুৰ্গা পণ্ডিত কিন্তু ওঠবার নাম করে না । গঙ্গাচরণ ভাবলে, কামদেবপুর এতটা পথ-যাবে কি করে ? সন্দে তো হয়ে গেল । আরও বেশ কিছুক্ষণ কাটলো। গঙ্গাচরণ কিছু বুঝতে পারচে না। এখনও যায় না কেন? শীতের বেলা, কোন কালে সুৰ্য অস্তে গিয়েচে। হঠাৎ দুৰ্গা পণ্ডিত বললে-হঁ্যা, ভালো কথা-এবেলা আমি দু’টো খাবো কিন্তু এখানে । -খবেন ? তাহোলে বাড়ীর মধ্যে বলে আসি । অনঙ্গ-বেী রান্নাঘরে চাল ভাজছিল, স্বামীকে দেখে বললে-ওগো, তোমার OS